প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৪
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
এর আগে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে সোমবার ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার রাতে দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তবে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে তারা চাইলে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারবে। সোমবার পরের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলা অতি তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হলো বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সোমবার বেলা তিনটার সময় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এ বছরে বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ২০১৪ সালের ২১ মে। সে সময় পারদ উঠেছিলো ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলার তাপমাত্রা উঠেছিলো ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে।
এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই রাজশাহী বিভাগ দিয়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয় এবং পরে তা সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে এবং কোথাও কোথাও অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নেয়।
এবারই দেশের ওপর দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ১৯৪৮ থেকে হিসাব করলে গত ৭৬ বছরের মধ্যে এবারের তাপদাহের স্থায়িত্ব বেশি। আর এই তাপদাহ বিস্তৃত হয়েছে বিশাল এলাকা নিয়ে।
এবার অতি তীব্র আবহাওয়ার মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গাতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২০ এপ্রিল এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর বেশিরভাগ দিনই ৪২ ডিগ্রির বেশি থাকছে। শনিবার পৌঁছয় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে।
দেশে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে চলা তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। হিট স্ট্রোকে প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর আসছে। গরমে নানা রোগেই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।