কিভাবে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২১২ পেল এক শিক্ষার্থী?
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৪, ১৬:৪২
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী দুটি বিষয়ে মোট নম্বরের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে। সম্প্রতি ওই ছাত্রের নম্বরপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্কুলে শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সবাই। কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি ভারতের গুজরাটের ঝালড় তালুকার খরসানা গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। চতুর্থ শ্রেণির সেই ছাত্র বংশীবেন মনীশভাই গুজরাটি ভাষা পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ২১১, গণিতে ২০০–এর মধ্যে ২১২। বাড়ি ফিরে ওই ছাত্র মা-বাবাকে নম্বরপত্র দেখালে ভুলটি ধরা পড়ে। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভুল চোখে পড়ার পরই ওই ছাত্রের হাতে সংশোধিত ফলাফল তুলে দেওয়া হয়েছে
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভুল চোখে পড়ার পরই ওই ছাত্রের হাতে সংশোধিত ফল তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, সে গুজরাটি ভাষায় পেয়েছে ১৯১ ও অঙ্কে ১৯০। পুরনো ফলে বংশীবেন মনীশভাই পেয়েছিল ১০০০-এর মধ্যে ৯৫৬। সংশোধিত ফলে পেয়েছে ৯৩৪।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফলাফলে দেখা গেছে গুজরাটি, হিন্দি, অঙ্ক, পরিবেশবিদ্যা ও ইংরেজি- সব বিষয়েই খুব ভালো ফল করেছে ওই শিক্ষার্থী।
এর আগে ২০২৩ সালে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক পরীক্ষার ফলাফলেও এমনটা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আয়েশা আনসারি ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ১১৫, আম্মারা আনসারি ১০৫, আশফা খান ১০১, মারিয়া মোমিন ১০৯, রিফা মোমিন ১১১ ও আসিয়া সাইক ১০৬ নম্বর পেয়েছিলেন। ওই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, সফটওয়্যারে ত্রুটির কারণে এ ঘটনা ঘটেছিল। পরে সেটি সংশোধন করা হয়। তবে গুজরাটের ওই স্কুলে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়: প্রাথমিক বিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণি ভারতের গুজরাট কিভাবে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২১২ পেল এক শিক্ষার্থী? মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের গুজরাটের ঝালড় তালুকার খরসানা গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নম্বর
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।