কোটি টাকার ক্ষতি
কুষ্টিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ বাড়িতে হামলা ও লুটপাট,
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:০৬
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্যের সংঘর্ষে অন্তত ১২ নেতাকর্মী ও সমর্থকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা শুক্রবার সন্ধ্যায় সুলতানপুর ও বের কালোয়া গ্রামে সংঘটিত হয়।
কয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি বকুল বিশ্বাস ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি রাশিদুল ইসলামের অনুসারীরা পদ্মা নদী ও কালোয়া বাজার এলাকায় আধিপত্য নিয়ে উত্তেজনা তৈরি করছিল। ১ নভেম্বরের সংঘর্ষে দুইজন আহত হন।
ঘটনার পর পাল্টাপাল্টি মামলা হলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় বকুল বিশ্বাসের পক্ষের লোকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কিছু নেতার সহযোগিতায় রাশিদুল ইসলামের অনুসারীদের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে ১২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও গবাদিপশুসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার সম্পদ লুট হয়।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবদল নেতা সালমান এফ রহমান এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশিদুল ইসলাম রয়েছেন। সালমানের পরিবার জানিয়েছে, হামলাকারীরা বাড়ির জানালা ও দরজা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণ এবং দুটি গরু লুট করেছে।
বকুল বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, রাশিদুল ও সালমান এলাকায় চাঁদাবাজি ও অশান্তি সৃষ্টি করেছেন এবং হামলা তারা আগে চালিয়েছে। তবে রাশিদুল ইসলাম দাবি করেছেন, বিএনপি নেতা বকুল মেম্বার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। তিনি জানান, এক মাসে তিন দফায় হামলার ঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক পক্ষের লোকজন আরেক পক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১ নভেম্বরের ঘটনায় মামলা হয়েছে, তবে প্রতিপক্ষ দেরি করায় তা এখনও নথিভুক্ত হয়নি; দ্রুতই মামলা নথিভুক্ত করা হবে।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।