কক্সবাজার-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার খবরে উচ্ছ্বাস—স্ট্রোকে মৃত্যু ইউনিয়ন বিএনপি নেতার
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৭
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী–কুতুবদিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদের নাম ঘোষণার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে গিয়ে স্ট্রোকে মারা গেছেন ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফরিদুল আলম ফরিদ (৫০) নোনাছড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আহমদের ছেলে। তিনি কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা রহুল কাদের বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আলমগীর ফরিদের দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার খবর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীরা তা ফরিদকে জানান। খবরটি শুনেই তিনি চরম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন—চিৎকার করেন, আনন্দে লাফ দেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই তিনি হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরিবার ও সহকর্মীরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা জানান, অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস ও উত্তেজনার কারণেই তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। কিছুদিন আগে তিনিও একবার স্ট্রোক করেছিলেন এবং চট্টগ্রামে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেন, ফরিদ ছিলেন দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইউনিয়ন বিএনপির নানা কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রেখেছেন। আসন্ন নির্বাচনে আলমগীর ফরিদের প্রার্থীতা নিয়ে তিনি বিশেষভাবে উৎসাহী ছিলেন।
ফরিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। দলীয় নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে ভিড় করছেন এবং পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। তারা মনে করছেন, ফরিদের মৃত্যু শুধু তার পরিবারের নয়, ইউনিয়ন বিএনপির জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি।
বিএনপি নেতা রহুল কাদের বাবুল বলেন, “তিনি দলীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত ত্যাগী একজন নেতা ছিলেন। প্রিয় নেতার মনোনয়ন পাওয়ার খবরে মাত্রাতিরিক্ত উল্লাসে দ্বিতীয়বার স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।”
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।