• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


কনস্টেবল কাওসার মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভূগছেন, দাবি পরিবারের

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৪, ১৬:৫৬

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বারিধারা কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে মনিরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেন কাওসার আলী নামের অরেক পুলিশ সদস্য। 

এই ঘটনা জেনে বাকরুদ্ধ পুলিশ সদস্য কাওসারের পরিবার এবং এলাকাবাসী। কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিবার দাবি করেছে, কাওসার দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন জানার পরও তাকে অস্ত্র-গুলি দিয়ে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথী বলেন, কাওছার মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও মাদকাসক্ত নন। চাকরিতে থাকা অবস্থাতেই কয়েকবার পাবনায় এক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তার স্বামী।

কাওছারের মানসিক হাসপাতালের ছাড়পত্র

স্বজন ও এলাকাবাসীরা জানান, কাওসার ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। পরে ২০০৬ সালে তিনি বিয়ে করেন। সংসারে দুটি ছেলে সন্তান আছে। চাকরিরত অবস্থায় ২০১০ সালের দিকে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এরপর থেকে তিনি মানসিক রোগে ভুগছেন।

এলাকাবাসী ও স্বজনদের দাবি, কাওসার ভালো মানুষ এবং ছাত্রজীবনে মেধাবী ছিলেন। কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পর তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। চাকরিরত অবস্থায় পারিবারিক এবং ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁকে কয়েকবার মানসিক হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সবশেষ রাঙ্গামাটিতে চাকরি করার সময় অস্ত্র-গুলি ফেলে বাড়িতে পালিয়ে আসেন। সে সময় বাড়িতে ভাঙচুর করা ও অন্য সদস্যদের নিয়মিত মারধর করার ঘটনাও ঘটেছে। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে পুলিশে দেন। পুলিশের তত্ত্বাবধানে তিনি র্দীঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

অভিযুক্ত কাওসারের মা মাবিয়া খাতুনের দাবি, কাউসার ভালো ছেলে। তার মাথার সমস্যা আছে। চাকরিতে যোগদানের পর তিনি নেশায় আসক্ত হন এবং সেই সূত্রে অসুস্থ হন। কাওছারকে যতবার মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, ততবারই পুলিশকে জানানো হয়েছে; অথবা পুলিশের তত্ত্বাধানেই তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। তিনি যে মানিসক রোগী, তা তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে।

মা মাবিয়া খাতুনের অভিযোগ, ‘একজন মানুষ মানসিক রোগী, তা জেনেও তার হাতে কেন অস্ত্র-গুলি তুলে দিয়ে এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ডিউটি দেওয়া হলো।’ তিনি বলেন, ‘তার সহকর্মীরাও তাকে পাগল বলে উত্ত্যক্ত করত, যার কোন বিচার বা প্রতিকার কাওছার পায়নি।’

পরিবার এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাওসারকে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবি করলেও তার কোনো ডাক্তারি নথিপত্র দেখাতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কাওসারের মানসিক অসুস্থতার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top