মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যা: বোরকা পরা গৃহকর্মী এখনো অধরা
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত নারী গৃহকর্মীকে এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চার দিন কাজের পুরো সময় জুড়েই তিনি বোরকা পরে কিংবা মুখ ঢেকে বাসায় যাতায়াত করতেন। ফলে সিসিটিভি ফুটেজেও তাঁর মুখ স্পষ্ট দেখা যায়নি।
পুলিশ সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের চার দিন আগে ওই নারী গৃহকর্মী প্রথম কাজে যোগ দেন। পুরো সময় তিনি মুখ ঢেকে চলাফেরা করতেন। ফলে বাসার সদস্য লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নাফিসা নাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) ছাড়া কেউই তার মুখ দেখতে পারেননি। তার নাম, ঠিকানা বা পরিচয়–সংক্রান্ত কোনো তথ্যও বাসার সদস্যদের কাছে ছিল না।
গতকাল সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় নিজ বাসায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন লায়লা আফরোজ ও তাঁর মেয়ে নাফিসা। ঘটনাকালে লায়লার স্বামী, শিক্ষক আজিজুল ইসলাম কর্মস্থলে ছিলেন।
সকাল ৭টার দিকে উত্তরা যাওয়ার পর একাধিকবার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হলে বেলা ১১টার দিকে তিনি বাসায় ফিরে আসেন। বাসায় ঢুকেই স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত দেখতে পান। ফটকের সামনে পড়ে থাকা মেয়েকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় আজিজুল ইসলাম ওই নারী গৃহকর্মীকেই একমাত্র আসামি করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে ওই নারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা করেছেন।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত গৃহকর্মীর কোনো পরিচয় না থাকায় তাকে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিভিন্ন সূত্র ধরে তাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
নিহত লায়লা আফরোজ ও নাফিসার মরদেহ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে নাটোরে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। মরদেহ এলাকায় পৌঁছালে স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশীসহ বহু মানুষ একনজর দেখতে ভিড় করেন। তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই।
জানাজার আগে নিহতদের স্বজনরা হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।