স্বামীর প্রয়াণে প্রথমবার মুখ খুললেন হেমা মালিনী
বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০৬
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র ২৪ নভেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো ভারতের বিনোদন অঙ্গনে। স্বামীকে হারানোর পর তিন দিন ধরে কোনো বক্তব্য না দিলেও আজ প্রথমবার ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে কথা বললেন তাঁর স্ত্রী ও অভিনেত্রী হেমা মালিনী।
সামাজিক মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে তোলা কয়েকটি স্মৃতিময় ছবি শেয়ার করে হেমা মালিনী লিখেছেন, “ধর্মাজি—তিনি আমার কাছে অনেক কিছু। আমার স্বামী, দুই মেয়ে ইশা ও অহানার আদরের বাবা, আমার বন্ধু, দার্শনিক, পথপ্রদর্শক, কবি। সুখ-দুঃখের প্রতিটি সময়ে তিনি ছিলেন আমার সবকিছু।”
ধর্মেন্দ্রর সহজ-সরল স্বভাবের কথা উল্লেখ করে হেমা আরও লিখেছেন, “আমার পরিবারে সবার সঙ্গে তিনি সহজ, বন্ধুসুলভ আচরণে নিজেকে আপন করে নিয়েছিলেন। সবার প্রতি তাঁর আন্তরিকতা ছিল অসাধারণ।”
বলিউডে তাঁর অবদান স্মরণ করে হেমা বলেন, “জনপ্রিয়তার চূড়ায় থেকেও ধর্মেন্দ্রর সরলতা, প্রতিভা ও ব্যক্তিত্ব তাকে ভারতীয় সিনেমায় এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তাঁর অবদান ও জনপ্রিয়তা চিরকাল অমলিন থাকবে।”
স্বামীর মৃত্যুতে ব্যক্তিগত শূন্যতার কথাও তুলে ধরেন হেমা মালিনী। তিনি লেখেন, “তার চলে যাওয়া আমার জীবনে গভীর শূন্যতা তৈরি করেছে, যা কখনো পূরণ হবে না। দীর্ঘ পথচলার অসংখ্য স্মৃতিকে সঙ্গী করেই বাকি জীবন কাটাতে হবে।”
১৯৮০ সালে হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর বিয়ে হয়। তাঁদের দুই কন্যা ইশা ও অহানা। প্রথম পরিবারের সঙ্গে আলাদা থাকলেও ধর্মেন্দ্র দুই পরিবারের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। হেমা ও ধর্মেন্দ্র একসঙ্গে ‘শরাফাত’, ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’, ‘নয়া জামানা’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘জুগনু’, ‘প্রতিজ্ঞা’, এবং কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘শোলে’সহ বহু সফল সিনেমায় কাজ করেছেন।
২৪ নভেম্বর মৃত্যুর পর সেদিনই মুম্বাইয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আজ সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে ধর্মেন্দ্রর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
সূত্র: পিংকভিলা
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।