ঘি–প্রচারণা ঘিরে সমালোচনায় ডা. এজাজ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪

সংগৃহীত

নাটক, সিনেমা ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করে নেওয়া অভিনেতা ডা. এজাজ এবার উল্টো সমালোচনার মুখে। ‘খাঁটি-ঘি’ নামের একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের প্রচারে যুক্ত থাকার কারণে ভোক্তাদের বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। ঘিয়ের নিম্নমানের অভিযোগে প্রতারিত গ্রাহকদের দাবি— ডা. এজাজের প্রতি ভরসা করেই তারা পণ্যটি কিনেছিলেন।

ঢাকা মেইলে এক ভুক্তভোগী বলেন,

“অনলাইনে অনেক পেজে বিজ্ঞাপন দেখেছি, কিন্তু ভরসা পাই না। একদিন দেখি ডা. এজাজ প্রচার করছেন। তার ওপর ভরসা করেই কিনেছিলাম। কিন্তু ঘির মান খারাপ। প্রতারিত হয়েছি।”

সোশ্যাল মিডিয়াতেও একই অভিযোগ তুলেছেন আরও অনেকে।

বিষয়টি নজরে আসার পর নিজেও বিব্রত এবং হতাশ ডা. এজাজ। এ ঘটনায় তাকে ভোক্তা অধিদফতরেও হাজিরা দিতে হয়েছে। তার ভাষ্য,

“কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন, আমাকে দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ভক্তদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন।”

এজাজ জানান, বিজ্ঞাপন করার আগে তাকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদনের কাগজ দেখানো হয়েছিল। তিনি বলেন,

“একজন ডিরেক্টর পণ্যের গায়ে বিএসটিআই-এর লোগো দেখান। খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে অনুমোদন থাকলে তো বিশ্বাস করতেই হয়। যদি প্রতিষ্ঠানটি ভেজাল পণ্য দিয়ে থাকে, কর্তৃপক্ষ যেন ব্যবস্থা নেয়।”

তিনি ইতোমধ্যে ভোক্তা অধিদফতরে লিখিত আবেদনও জমা দিয়েছেন। তবে অভিযোগ করার পরও বিজ্ঞাপনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে। প্রচার বন্ধে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কথা বলেছেন কি না— এমন প্রশ্নে এজাজ বলেন,

“অবশ্যই বলেছি। কিন্তু তারা কথা শুনছে না। প্রতারণা বন্ধ করতে নিষেধ করেছি। বিষয়টি ভোক্তা অধিদফতরকেও জানিয়েছি।”

সবশেষে ডা. এজাজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন— ভবিষ্যতে আর কখনো খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপনে যুক্ত হবেন না।তার কথায়,“সব জায়গায় অসৎ মানুষে ভরে গেছে। এই ঘটনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি— আর কখনোই খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপনে নিজেকে সম্পৃক্ত করব না।”

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top