এক নজরে দেখে নিন বাদামের গুণাগুণ
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০২৩, ০১:২৮
প্রত্যেকের জীবনে বাদাম খাওয়া উচিত। এতে খারাপ কোলেস্টেরল কমবে। হাই ব্লাডপ্রেশার নামবে। ট্রাইগ্লিসারাইডের আধিক্য ঘটতে পারবে না। ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়বে। বিপাকক্রিয়াজনিত রোগভোগান্তি হবে না। শরীরের ফ্যাটপোড়ানি যোগ্যতা বাড়বে।
আরও পড়ুন>>> লাল নাকি সবুজ, কোন আপেল বেশি উপকারী
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হার্টকে সুরক্ষা দেয় যে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, বাদামে ভালো পরিমাণেই থাকে এই ফ্যাট । অলিভ অয়েলের মতো বাদামেও থাকে স্বাস্থ্যপ্রদ অলিক অ্যাসিড। ৩৬.৫০ গ্রাম বাদামে অলিক অ্যাসিড থাকে ৮.১৬৭ গ্রাম। বাদাম থেকে মেলে ভিটামিন ই, নিয়াসিন, ফোলেট, প্রোটিন এবং ম্যাঙ্গানিজ। লাল আঙুর, রেড ওয়াইনের মতো বাদামও রেসভেরাট্রোল নামে ফোনোসিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরির সমতুল্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে বাদামে।
বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পলিফেনল থাকে, যেটি পি-কুমারিক অ্যাসিড যৌগ স্তরে থাকে, খোলায় ভাজলে এ অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ে। জানা গেছে, বাদাম এবং বাদাম থেকে তৈরি মাখন (পিনাট বাটার) করোনারি হার্ট ডিজিজে ভোগার আশঙ্কা কমায়। সপ্তাহে অন্তত চার দিন বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক বিজ্ঞানীরা। দিনে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম বাদাম খেতে বলেছেন। বাদাম না খেলে, তার বদলে পিনাট বাটার খেতে পারেন প্রতিদিন এক চা-চামচ করে সপ্তাহে অন্তত চার দিন।
বাদাম মস্তিষ্কে ৩০ শতাংশ হারে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্ট্রোক মৃত্যুর আশঙ্কা কমায় বাদামে থাকা এসব পুষ্টি উপাদান যথা কোলেট তথা ফোকি অ্যাসিড।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।