বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে নেপথ্যের কারিগর বঙ্গমাতা: শিল্পমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৯ আগষ্ট ২০২২, ০৫:৩৪
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অপরিসীম অবদান আছে। বেগম ফজিলাতুন নেছা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে নেপথ্যের কারিগর। তিনি ছিলেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন দেশের স্বাধীনতাসহ বঙ্গবন্ধুর সব লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের প্রেরণাদানকারী। তিনি বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়েছিলেন।’
রোববার (৮ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে ছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছে ছুটে আসতেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা জানতে। তিনি তাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পৌঁছে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাতেন। বিশেষ করে, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী। রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত না থেকেও তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস ছিলেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকে তিনি প্রশ্নহীনভাবে সমর্থন দিয়েছেন। মনোবল, সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’
সভাপতির বক্তব্যে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমৃত্যু সঙ্গী, বাংলার মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার অবদান ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
উল্লেখ্য, বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার শুরুতে দোয়া করা হয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয় জামে মসজিদে বাদ জোহর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।