জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু-উন্নয়ন অংশীদার : প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১৭
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অংশীদার। ২০১৬ সালের হলি আর্টিজানের বেদনাদায়ক ঘটনায় ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত জাপানের ৭ জন নাগরিক নিহত হন। জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম দেশ হওয়ায় এ হৃদয়বিদারক ঘটনাতেও দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা একটুও কমেনি। বরং সেটা কাটিয়ে উঠে দুই দেশের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ সুসম্পর্ক বজায় আছে।’
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গ্যালারিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাপান দূতাবাস, জাপান ফাউন্ডেশন ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের যৌথ আয়োজনে ‘ফটোগ্রাফিক ইমেজেস অ্যান্ড ম্যাটার: জাপানিজ প্রিন্টস অব দ্য ১৯৭০’ শীর্ষক দুই সপ্তাহব্যাপী (১৬ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২) বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল বারেক আলভী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আজকের জাপানিজ প্রিন্ট প্রদর্শনীটি মূলত ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী। নেপাল থেকে বাংলাদেশে এসেছে। অন্যান্য দেশেও যাবে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধের পর জাপানে প্রিন্ট মেকিং ব্যাপক বিকশিত হয়। ১৯৭০ এর দশকে তা উন্নতির শিখরে পৌঁছে। এ প্রদর্শনীটি জাপানের ১৪ জন প্রখ্যাত শিল্পীর সৃজনশীল কাজগুলো আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে, যা মূলত প্রিন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে সমসাময়িক শিল্পকলাকে প্রদর্শন করেছে।’
কে এম খালিদ জাপানের রাষ্ট্রদূতের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘ইতো নাওকি সংস্কৃতিমনা মানুষ। তিনি শিল্প-সংস্কৃতির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।’
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।