অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০২:১৯

ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তর থেকে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশিদকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন।

এদিকে, বজলুর রশিদের বেকসুর খালাস দাবি করে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, প্রসিকিউশন অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মামলার অভিযোগকারীসহ প্রসিকিউশনের ১৪ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

দুদকের উপপরিচালক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন একই বছরের ২৬ আগস্ট ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা এ মামলায় গত বছরের ২০ অক্টোবর দুদক বজলুর রশিদকে আটক করে গ্রেফতার দেখায়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বজলুর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২,৯৮১ বর্গফুট ফ্ল্যাট কিনতে ২০১৮ সালে রূপায়ণ হাউজিং এস্টেটের সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তিতে ফ্ল্যাটটির মূল্য বাবদ ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের বিষয়ে বলা হয়েছিল। ওই বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ৭ জুনের মধ্যে তিনি নগদ ও চেকে এই অর্থ পরিশোধ করেন। কিন্তু, দুদক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সেই টাকার সঠিক কোনো উৎস তিনি দেখাতে পারেননি।

১৯৯৩ সালে জেলসুপার হিসেবে চাকরি শুরু করেন বজলুর রশিদ। ২০১৩ সালে তাকে ডিআইজি (প্রিজন) হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। ২০১৬ সালে তাকে বদলি করে ঢাকায় আনা হয়। 

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top