• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


আজ আলোচিত ১/১১

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারী ২০২৩, ২৩:১৪

আজ আলোচিত ১/১১

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পূর্ণ হলো বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে আরেকটি কালো অধ্যায়ের ১১ বছর। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বহুল আলোচিত ফখরুদ্দিন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১১ বছর পূতি আজ। 

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব ছেড়ে দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ। আর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দিন আহমদ। তৎকালীন সেনা কর্মকর্তাদের সমর্থনে ওই নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য এই সরকারকে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলা হয়।

আরও পড়ুন: গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনে অনুমতি পেয়েছে বিএনপি

২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে প্রধান উপদেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়। কিন্তু শুরু থেকেই এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ জোর আপত্তি জানায়।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকলে সরকারের উপদেষ্টারা একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন। এরই মধ্যে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। এক পর্যায়ে সেনাসমর্থনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. ফখরুদ্দিন আহমদ।

এর আগে বিচারপতি কেএম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে না মানা এবং নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবিতে আওয়ামী লীগের আন্দোলনে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এক পর্যায়ে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন ও বায়তুল মোকাররম এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষ নিহত হন।

এভাবে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভেঙে দিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন। তখনকার সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমদ জরুরি অবস্থা জারির পর থেকে সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।

তিনিই এক অনুষ্ঠানে ১১ জানুয়ারির জরুরি অবস্থা জারির দিনটিকে ওয়ান-ইলেভেন বা এক-এগারো নামে আখ্যায়িত করেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top