বায়ুদূষণে টানা ৫ দিন ধরে শীর্ষে ঢাকা
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০২৩, ০০:০৪
রাজধানী ঢাকা বাষুদূষণে টানা পাঁচ দিন ধরে শীর্ষে রয়েছে। গতকাল (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাকিস্তানের লাহোরকে টপকে ঢাকা শীর্ষে উঠে এসেছে। বায়ুদূষণ সূচকে ঢাকার মান ছিল ২৪৩। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাহোরের ছিল ২৩৪।
আরও পড়ুন>>>রাজশাহীতে ৩ দিন ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা আরএমপির
একই দিন সকাল ১০ টা ১৮ মিনিটে দেখা যায়, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ২৭৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষে ছিল ঢাকা। পাকিস্তানের করাচি ১৯৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে। তৃতীয় অবস্থানে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ, শহরটির স্কোর ১৯৪। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। ১৭০ স্কোর নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডু রয়েছে পঞ্চম স্থানে। একই স্কোর নিয়ে দিল্লির অবস্থান ষষ্ঠ।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে আসছে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়। বায়ু পরিমাপের এ সূচকে স্কোর ১০১-২০০-এর মধ্যে থাকলে তা অস্বাস্থ্যকর বলে চিহ্নিত করা হয়। শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো, ৫১-১০০ মোটামুটি ধরা হয়। ১০১-১৫০ পর্যন্ত সতর্কতামূলক, ২০১-৩০০-এর মধ্যে থাকলে একিউআই মাত্রাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর ৩০১-এর বেশি স্কোরকে বলা হয় বিপজ্জনক।
গত বুধবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিন বায়ুদূষণের সূচকে খুব অস্বাস্থ্যকর অবস্থানে ছিল ঢাকা। এর আগের তিন দিন এই নগর ছিল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। সাধারণত কলকারখানা ও যানবাহনের কারণে বায়ু অতিমাত্রায় দূষিত হচ্ছে। অন্যদিকে বন ধ্বংসের ফলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র থেকে নির্গত সিএফসি বাতাসে মিশে ওজোন ধ্বংস করছে। এতে বায়ুদূষণ বাড়ছে।
এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) অধ্যাপক সালিমুল হক বলেন, বায়ুদূষণে ধুলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গাড়ি ও শিল্প-কারখানার ধোঁয়া। বাতাসে ধূলিকণা আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। আগে এত মেগাপ্রজেক্ট ও গাড়ি ছিল না। পাশাপাশি ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জলাশয় ভরাট হওয়ায় ধুলার নতুন উৎস তৈরি হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।