সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর আদায় করতে হবে

কর হার নয়, দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী 

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৬:২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফুটেজ)

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জোর জুলুম না করে উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে কর আদায় করতে হবে। মানুষকে কোনো ভয়-ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলা যাবে না। কর প্রদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের জানাতে হবে আপনার কর, আপনাদের কাজেই লাগে। সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে জনগণ। যারা সুফল ভোগ করছে তাদের তো কিছু দিতে হবে। রাষ্ট্র এমনি এমনি দিতে পারে না। আর অন্যের কাছে আমরা হাত পাতবো না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কর হার বাড়াতে চাই না। করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে। এসময় করফাঁকি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগেরও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফুটেজ)

তিনি বলেন, এখন যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেশি, প্রত্যেক মানুষের ওপর অতিরিক্ত চাপ। করজাল বাড়াতে হবে, ই-টিআইএন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমি মনে করি, এখানে কোনো জোর খাটবে না। কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা যাদের আছে, সবক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম হয়ে গেলে কেউ আর ফাঁকি দিতে পারবে না। আয়করের পরিমাণ এমন রাখতে হবে যেন প্রত্যেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন করদাতার সক্ষমতা কিন্তু উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আছে। সেখানে রাজস্ব বোর্ডের প্রচারণা দরকার। যাদের কর দেওয়ার সামর্থ্য আছে, আপনারা দয়া করে দেবেন। যেটা আপনাদের সেবায় সরকার কাজে লাগাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন কেউ আর কুঁড়েঘরে বাস করে না। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় ঘর দিচ্ছি, দুই কাঠা করে জমি দিচ্ছি। জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এখন করদাতার সক্ষমতা কিন্তু উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আছে। সেখানে রাজস্ব বোর্ডের প্রচারণা দরকার। যাদের কর দেওয়ার সামর্থ আছে, আপনারা দয়া করে দেবেন। যেটা আপনাদের সেবায় সরকার কাজে লাগাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফুটেজ)

তিনি বলেন, আরও ব্যাপক প্রচার দরকার। তাহলে রাজস্ব আহরণে খুব বেশি অসুবিধা হবে না। অনেকেই যেতে হবে, দিতে হবে- এই ঝামেলাটা নিতে চান না। এখন যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেশি, প্রত্যেক মানুষের উপর অতিরিক্ত চাপ। এক্ষেত্রে করহার না বাড়িয়ে যৌক্তিক করতে হবে। করজাল বাড়াতে হবে, ই-টিআইএন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, স্মার্ট ইকোনমি গঠনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করাই আমাদের লক্ষ্য। ২০৪১ সালের মধ্যে এটা আমরা অর্জন করতে চাই।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুদিনব্যাপী জাতীয় রাজস্ব সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে এনবিআরের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। সম্মেলন উদ্বোধন শেষে স্টল এবং রাজস্ব মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top