রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৯:১৬

রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপ্রাপ্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করলে প্রধানমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন প্রদানের বিষয়ে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, সংসদীয় দলের বৈঠকে দলের সভাপতি, সংসদীয় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি যে দায়িত্ব অর্পন করেছিলেন, তার আলোকে তিনি এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন।

আরও পড়ুন>>>দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর পরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়। যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে কমিশন’ গঠন করেন, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সংবিধানের ১২তম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা চালু হওয়ার পর শুধু ১৯৯১ সালেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা ভোট গ্রহণ করা হয়। ওই সময় সংসদে ক্ষমতাসীন বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন ১৪০ জন। অন্য সংসদ সদস্যরা ছিলেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও অন্য সাতটি দলের। সে কারণে ভোট গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়নি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top