খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০০:৫৫
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। রোববার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আনিসুল হক বলেন, সেই শর্তগুলো আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, তিনি ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা নেবেন। নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন তার মানে এই নয় যে তিনি হাসপাতালে যেতে পারবেন না। তিনি হাসপাতালেও যেতে পারবেন। তবে এই সময় তিনি দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না।
মন্ত্রী বলেন, এই দুই শর্ত সাপেক্ষে তার যে দণ্ডাদেশ স্থগিতাদেশ ছিল, সেটা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে মুক্তি সময় বাড়ানো হয়েছে।
‘আমরা কি স্থগিত বলবো নাকি আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে বলবো’-সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, আমরা মতামত দিয়েছি এবং কথা হচ্ছে যে এই মতামতের ভিত্তিতেই গত কয়েকবার এটাকে কার্যকর করা হয়েছে৷ আমি আশা করি এই মতামতের ভিত্তিতেই এবারও সেটা কার্যকর করা হবে।
তিনি বাসায় থেকে রাজনীতি করতে পারবেন কি না- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি একটা কথা বারবার বলেছি। দরখাস্তে যেটা বলা হচ্ছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। সেক্ষেত্রে রাজনীতি করার প্রশ্নটা তো অবান্তর। তিনি মুক্ত, তিনি অসুস্থ, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখানে রাজনীতির কথাটা আসাটা আমরা মনে হয় প্রয়োজন নেই।
‘একজন অসুস্থ মানুষ কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না আমি সেটা ডিকটেশন দিয়ে দেব না। কিন্তু এটা সবাই স্বীকার করছেন যে, তিনি অসুস্থ।’
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এই অবস্থায় কিছুদিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।
করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ৬ মাস স্থগিত করার পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। এরপর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার কারামুক্তির মেয়াদ ৬ বার বাড়ানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাস ও লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে বিএনপি বরাবরই দাবি জানিয়ে আসছে। এরআগে, পরিবারের পক্ষ থেকেও কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা নাকচ করে দেয় সরকার।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।