প্রতারণার মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের ২ বছরের কারাদণ্ড
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩, ০২:০১
প্রতারণার মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন—জয়যাত্রা আইপিটিভির মহাব্যবস্থাপক হাজেরা খাতুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান, সমন্বয়ক সানাউল্ল্যাহ নূরী ও নিজস্ব প্রতিবেদক মাহফুজ শাহরিয়ার।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জ্বল হোসেন ৩ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর অনুপস্থিত ছিলেন। আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করে তার আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তার সুগার লেভেল খুব বেশি থাকায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। আরেক আসামি হাজেরা খাতুনও রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
বিচারিক আদালত তার জামিন বাতিল করে পলাতক ঘোষণা করেন এবং তার অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন আত্মসমর্পণ করলে বা তাদের গ্রেপ্তার করার দিন থেকে তাদের শাস্তি কার্যকর শুরু হবে। এরআগে, আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সূত্র: ডেইলি স্টার
সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার প্রমুখ।
মামলার বাদী অভিযোগ করেন, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে তিনি কয়েক মাস কাজ করলেও তাকে কোনো বেতন দেওয়া হয়নি। উল্টো তার কাছ থেকে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইড) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হেলানা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন তোফাজ্জল হোসেন দণ্ডবিধি ৪২০/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। সূত্র: যুগান্তর
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।