স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩, ২০:০০
স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক, ছাত্রনেতা ও চার খলিফার একজন বলে খ্যাত নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার (২৯ মার্চ) ভোররাতে মারা যান তিনি। তার প্রেস সচিব কবি ও বাচিকশিল্পী অনিকেত রাজেশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরে আলম সিদ্দিকী মারা যান। সকাল ১০টায় তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে ঝিনাইদহে নেয়া হবে।
সেখানে জানাজার পর বাদ আছর গুলশানের সেন্ট্রাল মসজিদে তার জানাজা হবে। এ সময় নূরে আলম সিদ্দিকীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হবে। এরপর সাভারে নিজের করা মসজিদের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন অনিকেত রাজেশ।
সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের ‘চার খলিফা’র একজন হিসেবে তাকে উল্লেখ করা হয়। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি।
নূরে আলম সিদ্দিকী ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী।
১৯৭০-৭১ সালে ছাত্রলীগের চার প্রখ্যাত চার নেতাকে সবাই বঙ্গবন্ধুর চার খলিফা বলে চিহ্নিত করত। কারণ, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও স্নেহভাজন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য পাওয়া ওই নেতারা হলেন- আবদুল কুদ্দুস মাখন, শাহজাহান সিরাজ, আ স ম আবদুর রব ও নুরে আলম সিদ্দিকী।
এরমধ্যে, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস মাখন ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ বেশ আগেই মারা গেছেন। আজ মারা গেলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী। আওয়ামী লীগ থেকে জাসদে যাওয়া ডাকসুর তৎকালীন ভিপি আ স ম রব জেএসডি নামের একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।