যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ভণ্ডদের আখড়া

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২৩, ২৩:০৭

সজীব ওয়াজেদ জয়

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে ‘ভণ্ডদের আখড়া’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। টেনেসিতে দুজন কৃষ্ণাঙ্গ নেতাকে রাজ্যের আইনসভা থেকে বহিষ্কারের ঘটনার একটি রিপোর্ট দেখিয়ে ফেসবুক পোস্টে এই মন্তব্য করেন জয়।

বিবিসির প্রতিবেদনটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘আইনসভার সদস্যরা ভোট দিয়ে দুই সংখ্যালঘু আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কার করেছে, যদিও একজন শ্বেতাঙ্গকে রেখে দিয়েছে। এই হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের অবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক দল ভণ্ডদের আখড়া ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়ে ওয়াশিংটনের নানা প্রতিক্রিয়া এবং র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীপুত্রের এমন মন্তব্য এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ মানবাধিকার প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা, গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছিল।

দুই বছর আগে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। র‌্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ডয়চে ভেলের সাম্প্রতিক ভিডিও প্রতিবেদন নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

ওই ভিডিওতে থাকা অভিযোগ ‘অত্যন্ত সাবধানতার’ সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র দপ্তরকে বিঁধলেন।

গত ২৭ মার্চে টেনেসির ন্যাশভিল শহরের একটি স্কুলে বন্দুক হামলায় তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হন। হতাহতের ওই ঘটনার পর বন্দুক আইন সংস্কার দাবির আন্দোলন দানা বাঁধে। শত শত বিক্ষোভকারী পদযাত্রা করে রাজ্যের ক্যাপিটল ভবনে গিয়ে কঠোর বন্দুক আইনের দাবি তোলে।

ওই আন্দোলেনর একাত্মতা জানান তিন ডেমোক্র্যাট নেতা গ্লোরিয়া জনসন, জাস্টিন জোনস ও জাস্টিন পিয়ারসন। তারা মাইক হাতে নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে বন্দুক আইন সংস্কারের দাবি জানান। এতে তারা রোষানলে পড়েন রিপাবলিকানদের।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার টেনেসির প্রতিনিধি পরিষদে ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণের’ জন্য তিন আইনপ্রণেতাকে বহিষ্কার করতে রিপাবলিকান নেতাদের আনা একটি প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়।

ভোটে কৃষ্ণাঙ্গ দুই আইনপ্রণেতা জাস্টিন জোনস (২৭) ও জাস্টিন পিয়ারসন (২৮) প্রতিনিধি পরিষদ থেকে তাদের সদস্যপদ হারান। তবে একটি মাত্র ভোটের কারণে সদস্যপদ হারানো থেকে বেঁচে যান শ্বেতাঙ্গ জনসন।

কীভাবে সদস্যপদ ধরে রাখা গেল-সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে জনসন বলেন, আমার গাত্রবর্ণের কারণ হতে পারে। সেই বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করেই সজীব ওয়াজেদ জয় মন্তব্য করেছেন।

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top