আওয়ামী লীগ নির্বাচন-গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:৫০
'জনগণ বোঝে, বিদেশিরাও বোঝে- এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিনই সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে না'-এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এবার জনগণ জেগে উঠেছে। বিশ্বাস করি, এবার জনগণ দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করবে। দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।
প্রধানমন্ত্রীর তিন দেশ সফর নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এই সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে তাদের পুরানো লক্ষ্য সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সেই লক্ষ্যেই তারা ২০১৪ সালেও নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে একটা প্রহসনে পরিণত করেছে, নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। একইভাবে ২০১৮ সালে আগে রাতে ভোট করে দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে, জনগণ সেখানেও অংশগ্রহণ করেনি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও জনগণ অংশগ্রহণ করছে না, জনগণ যাচ্ছে না। সম্প্রতি, যে ভোট হয়ে গেল সেই ভোটে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে গেছে। সুতরাং খুব সহজেই মানুষ বোঝে-এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। জনগণও সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
এ কারণেই আওয়ামী লীগ আজকে এই সব কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। বিশেষ করে তাদের বিদেশে তাদের ভাবমূর্তি ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা সেই ভাবমূর্তি তৈরি করতে চায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে। এই সরকার গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে জোর করে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।
ফখরুল আরও বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে, যেখানে মেয়র নির্বাচন বা কমিশন নির্বাচন, এখানে আমাদের দলের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা ও দোয়া শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।