বাংলাদেশে নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সহায়তা বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ৯ জুন ২০২৩, ০২:১৬
নিরাপত্তা, ব্যবসা বাণিজ্য ও জলবায়ু ইস্যুতে আরও সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। বুধবার (৭ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ধারাবাহিক সফলতা তুলে ধরে, বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান জানতে চান এক সাংবাদিক। এ সময় মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি আমরা। এ বছর আমরা সেই সম্পর্ক আরও গভীর করার পাশাপাশি সামনে এগিয়ে নিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এ বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে আমরা সেই সম্পর্ককে আরও গভীর করার অপেক্ষায় রয়েছি এবং এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আমরা সেই সহযোগিতাকে আরও মজবুত করতে চাই। এর মধ্যে একটি অবশ্যই বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সহযোগিতার সুযোগ।
বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনে মার্কিন সম্পৃক্ততা বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে প্যাটেল বলেন, অবশ্যই এটি এমন একটি সমস্যা যা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি আপনাদের কিছু সহকর্মীর সঙ্গে এই বিষয়ে অনেক কথা বলেছি। তার মধ্যে একটি অবশ্যই ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতার সুযোগ।
জলবায়ুসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। তবে বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা সহযোগিতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি বলে জানিয়েছেন বেদান্ত প্যাটেল।
চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৪ মে ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ঘোষণায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে আগ্রহী। যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে বা গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যহত করার চেষ্টা করবে, তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে মার্কিন সরকার।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।