পম্পেওর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার অস্তিত্ব নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, “একজন জ্যেষ্ঠ নেতার কাছ থেকে এ ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক ও অগ্রহণযোগ্য।”

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সাম্প্রতিক এক বিবৃতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, "মাইক পম্পেও বাংলাদেশকে এমন এক স্থান হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ‘যেখানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদা রয়েছে, একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ গোষ্ঠী এখানে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে। ’ একজন সিনিয়র নেতার এমন দায়িত্বহীন মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।

পম্পেওর এ ধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্যকে বাংলাদেশ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশে আল-কায়দার উপস্থিতির প্রমাণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব প্রকার সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বজায় রেখেছে। সন্ত্রাস মোকাবিলায় সব পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে।

সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে আন্তর্জাতিক ‘প্রতিরোধমূলক’ উদ্যোগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে আল-কায়েদার সম্ভাব্য অবস্থান হিসেবে উল্লেখের তথ্য ভিত্তিহীন। এর কোনো প্রমাণও নেই। এ জাতীয় দাবি প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে খুশি মনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

দু'দেশের মধ্যে যখন বন্ধুত্বপূর্ণ, অংশীদারি ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অগ্রসরমান, তখন কল্পনার ভিত্তিতে এ জাতীয় বিবৃতি দেওয়া হলে বাংলাদেশ এটিকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে বিবেচনা করবে। "

আল কায়দা নিয়ে মাইক পম্পেওর সাম্প্রতিক একটি বক্তব্যে বাংলাদেশকে জড়ানোর বিষয়টি গোচরে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।

এনএফ৭১/২০২১