সাংবাদিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কী বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, এর আওতায় কারা থাকছেন?
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:০৭
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ায় দেশের রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে নানান গুঞ্জন। অনেকের নাম আছে আলোচনায়। সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধীদলের রাজনীতিবিদরাও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয়েছে। তবে কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন তা প্রকাশ করেনি দেশটি।
এমন ঘোষণার পর রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানান, নতুন ভিসা বিধিনিষেধে মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। তার এ বক্তব্যটি পরদিন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে উঠানো হয়। এ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানানো হয়, এ মন্তব্য ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বলা হয়, এ ধরনের পদক্ষেপ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত করার পরিপন্থী। ‘আপনি কি মনে করেন না যে মিডিয়ার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে দুর্বল করবে?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ভিসানীতির আওতায় কারা পড়েছেন নির্দিষ্ট করে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে এর আওতায় পড়বেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা।
যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসানীতির উদ্দেশ্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে কারও পক্ষ নেওয়া নয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। তিনি বলেন, এই ভিসানীতির উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা।
এক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন যে বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালে যেকোনো পদক্ষেপের ক্ষেত্রে, যারা এই ধরনের উদ্যোগ নেবে তাদের ওপরও বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ওই সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র আশ্বাস দিয়েছে, নির্বাচনের আগে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তাই এটা কি সত্য এবং আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
এমন প্রশ্নে ম্যাথু মিলার পুরোনো কথাই বলেন, মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী (অ্যান্টনি ব্লিংকেন) নতুন নীতি ঘোষণা করেছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল না যে বাংলাদেশে একটি নির্বাচনে পক্ষ নেয়া, বরং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনকে সমর্থন করা।
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘চিকিৎসার অবস্থা খুবই গুরুতর’ উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির বিষয়ে আপনার অবস্থান কী? এ প্রশ্নে বিস্তারিত জবাবে না গিয়ে এককথায় বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।