নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তৎপর হলেও দেশটি এখানকার বিশেষ কোনো দলকে সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।সোমবার (২ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

ভিসা নীতির উদ্দেশ্য বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করা বলে জানান তিনি। মাথ্যু মিলার বলেন, আমি শুধু বলব যে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে চায় না। শুধু নিশ্চিত করতে চায় যে বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পিটার হাসের বিবৃতিকে বিরোধীদের পাশাপাশি কট্টরপন্থীরা স্বাগত জানিয়েছে। এরই মধ্যে গণমাধ্যমের ব্যক্তিরা হুমকি পেয়েছেন, উগ্র মতবাদের সমালোচনাকারী সাংবাদিকদের তালিকাও প্রচার হচ্ছে। এছাড়া রাষ্ট্রদূতের বিবৃতিকে নাগরিক ও মানবাধিকার কর্মী, যুদ্ধাপরাধ বিরোধী প্রচারক, সম্পাদক, সাংবাদিক, লেখক, সংখ্যালঘু নেতারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি অবমাননা হিসেবে দেখছেন।

প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনি কি রাষ্ট্রদূতের বিবৃতিকে সমর্থন করেন এবং ধর্মনিরপেক্ষ জাতিকে সমর্থনকারী এত বড় উদারপন্থী গোষ্ঠীর উদ্বেগকে সরাসরি অস্বীকার করেন?’ মাথ্যু মিলার বরাবরের মতো সুর্নিদিষ্ট কোনো উত্তর না দিয়ে ভিসা নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এর মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার ইচ্ছা নেই।

মিলার বলেন, গত সপ্তাহে আমি যা বলেছিলাম তা আবারো বা একটু ভিন্ন ভাষায় বলি। বাংলাদেশীরা চায় শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা যুক্তরাষ্ট্রও চায়। বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম সবাই চায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক, যেমনটা আমরা চাই।

এর আগে গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ঘোষণায় বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ি বা জড়িত ব্যক্তিদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। ওই ঘোষণার প্রায় চার মাস পর ২২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনীতিকসহ কয়েকটি শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এরপর গতকাল প্রশ্ন করা হলে মিলার বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ফের তুলে ধরেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top