খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর! তিনি শঙ্কামুক্ত নন

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:২৯

ছবি: সংগৃহীত

এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবার কেবিনে নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ১১টার দিকে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। এর আগে রাত সোয়া ৯টার দিকে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে তার ফুসফুসে জমা ফ্লুইড অপসারণ করা হয়।

গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে খালেদা জিয়াকে বেশ কয়েক দফায় সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

ডাক্তাররা জানান, খালেদা জিয়ার প্যারামিটারগুলোর ওঠা-নামা করছে। এখন অবস্থা ভালো-খারাপ কোনোটিই বলা যাবে না। বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন। কারণ তিনি শঙ্কামুক্ত নন। যেকোনো সময় পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গেল সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডা. এস এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার পেটে ও বুকে পানি জমেছে। সেই পানি ঝরছে। লিভার জীবাণু আক্রান্ত হয়ে গেছে। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আর বাসায় নেওয়ার মতো অবস্থা নেই।

তাকে এখন আমাদের উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। তিনি মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে আছেন। খালেদা জিয়ার ভালো চিকিৎসার এখনো সুযোগ আছে, সেটা দেশের বাইরে। খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতেই হবে। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া দরকার।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

সবশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তিনি এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। দুই মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে আছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় তার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি মেলে তার।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top