• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ফারহানা মির্জা | প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৪

ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পর এবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মহিউদ্দিন চৌধুরী এক্সপ্রেসওয়ে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ১৪ নভেম্বর গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্দরনগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন।

চট্টগ্রাম মহানগরীসহ উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাতায়াত ও যোগাযোগব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে নির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১৫.২০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৬.৫০ মিটার। চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভারটিতে ৩৬২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৬.৮০ মিটারের ১৪টি র্যাম্প নির্মিত হবে, যা আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে।

পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৫.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে টাইগারপাস পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ হলেও সব র্যাম্পের কাজ বাকি রয়েছে। ১৪টি র্যাম্পের মধ্যে জিইসি মোড়ে একটি, টাইগারপাসে দুটি, আগ্রাবাদে চারটি, ফকিরহাটে একটি, নিমতলায় দুটি, সিইপিজেডে দুটি এবং কেইপিজেড এলাকায় দুটি র্যাম্প থাকবে। আগ্রাবাদ এলাকার চারটি র‍্যাম্পের মধ্যে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর সড়কে একটি, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার সড়কে একটি এবং আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে দুটি র‍্যাম্প হবে।

তবে টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশ ও র্যাম্পের কাজ বাকি রেখেই খুলে দেওয়া হচ্ছে এই এক্সপ্রেসওয়ে। এক্সপ্রেসওয়ের নাম প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

গেলো ২৮ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন। টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে একে অন্যের পরিপূরক বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধাগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু টানেলের সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরের নতুন সড়ক নেটওয়ার্ক সৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম নগরীর সিইপিজেড, কেইপিজেডের সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ায় শহরে যানজটের সমস্যা লাঘব হবে। চট্টগ্রাম শহর থেকে যাত্রীরা মাত্র ২০ মিনিটে বিমানবন্দরে যাতায়াত করতে পারবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের সংযোগের ফলে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামের যানজট সমস্যা নিরসন হবে। জনসাধারণের প্রতিদিনের যাতায়াতের সময় সাশ্রয় হবে। দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা বিস্তার করবে। সর্বোপরি যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top