মির্জা আব্বাসের দুদকের মামলার রায় ৩০ নভেম্বর
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবের ৫ মাসের কারাদণ্ড
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:২৪
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিবকে আদালত অবমাননার দায়ে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম।
র্যাব-২ এর পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, হাইকোর্টকে কটূক্তি ও আদালত অবমাননার মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন। আজ (২২ নভেম্বর) তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। র্যাব বলেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও হাজির না হওয়ায় হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর রায়ের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখান আদালত। ওইদিন মামলাটির যুক্তিতর্ক থেকে ফিরিয়ে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আবেদন করেন আব্বাসের আইনজীবী।
এরপর মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষী দেন। অপর চারজন হলেন- অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউনটেট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।