ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের নাম পেয়েছে ডিবি: হারুন

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:১৯

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িতদের নাম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)গোয়েন্দা  বিভাগ (ডিবি)। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে ডিবি।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবিপ্রধান বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানো রাজনৈতিক কোনো পার্ট না। এটি এক ধরনের দুর্বৃত্তায়ন। যারা ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়েছে, তারা ছাড় পাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ডিবি পুলিশ কাজ করছে। অনেকের নাম পেয়েছি। আশা করছি তাদের দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।

হারুন অর রশীদ বলেন, ভাড়াটিয়া হিসেবে হোক আর টাকার লোভে হোক, যারা এই কাজ করছে সেই জায়গা থেকে সরে এসে নাশকতা-দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন। কোনো বড়ভাইয়ের নির্দেশে এই কাজটি করা মোটেও ঠিক নয়।

তিনি বলেন, যে কোনো ঘটনা ঘটার পর ডিবি সব সময় ছায়াতদন্ত করে। রেলে নাশকতা ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে শিশুসহ চারটি তাজা প্রাণ চলে যায়। যারা এ কাজটি করেছে, তারা ২৮ তারিখের পর থেকেই নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার জন্য ও সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্যই এই কাজটি করেছে। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গায় তারা বাসায় আগুন লাগাচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি। নতুন করে তারা এখন ট্রেনে আগুন লাগানো শুরু করেছে।

সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, যারা নাশকতা করতে চায়, তাদের নাম-নম্বর নিয়ে আমাদের জানাবেন, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনব। নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি সামনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কেউ যদি নাশকতা করে, দুর্বৃত্তায়ন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, এক-দুটা গাড়িতে আগুন লাগালেই কিংবা ককটেল ফাটালেই নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়। আমরা প্রতিটি জায়গায় কাজ করছি। আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছি, চেকপোস্ট রয়েছে ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে ১৯ ডিসেম্বর ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই আগুনে নিঃশেষ হয়ে যায় চারটি জীবন। নিহতদের মধ্যে এক মা ও তার শিশুসন্তান ছিল। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে হরতাল-অবরোধের মধ্যে এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চারটি ট্রেনে আগুন দেওয়া এবং রেললাইন কেটে ফেলার একটি ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আর, সর্বশেষ গত মঙ্গলবার চারজনসহ মারা গেছেন পাঁচজন। রেললাইনে আরও ১৯টি অগ্নিসংযোগ এবং ৮টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top