আমি জাতির পিতার কন্যা, কারও কাছে মাথা নত করব না: শেখ হাসিনা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২ জানুয়ারী ২০২৪, ১৯:১৯

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি করতে আসিনি। এসেছি বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। আরও কাজ বাকি আছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। নৌকা মার্কা ভোট পেলেই আমি সরকারে আসতে পারবো। উন্নয়নশীল দেশ গড়তে পারবো।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভাস্থল রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা। কারও কাছে মাথা নত করি না, করব না।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আমি গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ষড়যন্ত্র করে আমাকে আসতে দেয়নি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এককভাবে ২৩৩টি সিটে জয়ী হয়। আর বিএনপি মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল। যে কারণে তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন করেনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন নিয়ে ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫ বছর ক্ষমতায় আছে। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। ৮ হাজারের ওপরে ডিজিটাল সেন্টার আজকে আমাদের দেশের মানুষকে সেবা দিচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছি। ওয়াইফাই কানেকশন দিয়ে দিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নৌকা মার্কা যদি ভোট পাই, তাহলেই এসে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে পারব। এদেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে। তারা জানে আমরা কারও কাছে মাথা নত করি না। তাই তাদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। সব মোকাবিলা করতে হবে।

২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করছে। আর আ.লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দেশ গড়তে নামি আমি।

জনসভায় মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসানকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাকিব বক্তৃতা করতে পারে না, বক্তৃতা করার দরকার নাই। তুমি শুধু বলবা তুমি ছক্কা মারতে পারো ও উইকেট নিতে পারো।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উচ্ছ্বসিত দলীয় নেতাকর্মীরা। জনসভা সফলে কাজ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভক্তি আছে, তা নিরসন হবে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top