বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের বস্তু না
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২৪, ১৪:৩০
ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু মনে করেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতা আমার কাছে ভোগের বস্তু নয়। আমার কাছে ক্ষমতা মানে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ যে টানা চারবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য যদি প্রসার না ঘটে কোন দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিলাম, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছি যে আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আগাম প্রস্তুতি থাকলে যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা খুব একটা কঠিন হবে না।’
তিনি বলেন, ‘উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা বহুমূখী ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই আমাদের দেশটা আরও এগিয়ে যাক। আরও উন্নত হোক। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হোক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কূটনৈতিক মিশনে এই ম্যাসেজটা দিয়েছি যে, এখন আর রাজনৈতিক না, এখন আমাদের ডিপ্লোমেসি হবে অর্থনৈতিক। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার আমরা কিভাবে ঘটাব সেটার উপরই আমাদের কূটনৈতিক মিশনগুলো কাজ করবে। সেটাই আমরা চাচ্ছি।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমরা রাপ্তানিতে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ওই একটা-দুটা পণ্যের উপর নির্ভারশীল থাকলে আমাদের চলবে না। আমাদেরকে রপ্তানি বহুমূখিকরণ করতে হবে। এটা আমি বারবার বলছি। সেই ক্ষেত্রে কিন্তু সুযোগ আরও দিতে হবে। আমরা যে পণ্যটাকে বেশি সুযোগ দিচ্ছি, তারাই কিন্তু বেশি সাফল্য করছে।’
নারীদের কর্মসংস্থান বাড়ানো ও তাদের স্বাবলম্বী করার কথা উল্লেখ করে হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। বাড়িতে ও সমাজে তাদের একটা জায়গা (অবস্থান) তৈরি হবে। নারীদের কর্মসংস্থান করে দেওয়ার জন্য আমি এবার এই ‘২৪ সালে হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করছি।
এদিন সকাল ১০টার দিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন সরকার প্রধান। জানা গেছে, উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা।
এবারের মেলায় প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। পাশাপাশি গতবারের মতো এবারও মেলায় যাতায়াতের সুবিধায় শাটল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।