সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন বেনজীর

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সর্বশক্তি ব্যবহার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরের গতকাল বেনজীরকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগে ওনার নাম ছিল কি না জানি না; আওয়ামী লীগকে ডিফেন্ড করার জন্য, ক্ষমতায় রাখার জন্য বেনজীর সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন। নির্বাচনের সময় তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন যে, সেই সরকারকে ভোট দেবেন যারা উন্নয়ন করছে, উন্নয়ন করতে যাচ্ছে।

আমরা উন্নয়নের পক্ষে আছি। তার এই কথাগুলো বলার কথা না কিন্তু কথাগুলো বলেছে। যত রকম করে পারা যায় বিরোধী দলকে নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে। বেআইনিভাবে হত্যা করেছে, জুডিশিয়াল কাস্টডিতে হত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে এবং মিথ্যা মামলা, এই গায়েবি মামলা সেই সময় তৈরি সব।

তিনি আরো বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে মাঠে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ২৮ অক্টোরের পরে দুই-তিন দিনের মধ্যে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যখনই আমরা আন্দোলন করি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামি, তখনই তারা হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে।

পুলিশ-র‌্যাব আক্রমণ করে। বেনজীর সাহেব ছিলেন পুলিশ বাহিনী, র‌্যাবের প্রধান। সব পত্রিকায় যখন তার অপকীর্তি, চুরি-দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে, তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেব বলছেন, সে কি আওয়ামী লীগ করে?’

সাবেক সেনা প্রধান আজিজের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আরেকজন সাবেক সেনা প্রধান আজিজ। তাকে তারা (আওয়ামী লীগ) অনেককে ডিঙ্গিয়ে, তার দুই ভাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী জেনেও সেনা বাহিনীর চিফ করেছিল। তাদের যে কাজ, তারা সেটা করে দিয়েছিল—নির্বাচন পার করে দিয়েছিল।

ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কয়দিন আগে বলেছেন সাদা চামড়ার লোকরা নাকি তাকে বলেছে যে, কোনো একটা দেশের এয়ারবেজ করতে দেওয়ার জন্য। সেখানে তাদের জঙ্গি বিমান নামবে। আর বাংলাদেশের একটি অংশ চট্টগ্রাম ও মিয়ানমারকে নিয়ে নতুন একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র তৈরি করার তারা চেষ্টা করছে।

প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে এই মুহূর্তে জনগণের কাছে এর প্রকৃত ব্যাখ্যা তুলে ধরা। কারা এটা চাইছে? কেন চাইছে? আর আপনারা কেন এতদিন পর প্রকাশ করছেন? এটা আমরা জানতে চাই। কারণ আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।’