ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য চলছে - মেনন
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৪, ২১:৪৮
জাতীয় সংসদে 'সুখী সমৃদ্ধ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার' শীর্ষক বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার বাড়লেও ঘাটতির পরিমাণ কমছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, আগামী অর্থবছর ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন জানিয়েছেন, জনগণের ওপর দায় রেখে বাজেট দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, জনগণ নিজেরা সমাধান করুক, এ ধরনের একটা জায়গায় রয়ে গেছে বাজেটে। আমার কাছে মনে হয়েছে, অতীতের ধারাবাহিকতার সঙ্গে পার্থক্য খুব একটা নেই।
বাজেট উপস্থাপন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মেনন বলেন, আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) শর্ত পূরণ করেই সরকার প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করা হয়েছে। আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, তার মধ্যে বিস্তারিত নেই। তবে আমরা জানি যে, আইএমএফের শর্ত পূরণ করা ছাড়া এই বাজেট (সরকার) তারা দিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আমি খুব একটা আশাবাদী হইনি এ বাজেট দেখে। বর্তমান যে বাস্তবতা, সেই বাস্তবতায় সংকট নিরসনে; জনজীবনে যে সংকটগুলো রয়েছে, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত বিবরণীতে কী আছে আমি জানি না। কারণ আমরা সংক্ষিপ্ত বিবরণী দেখেছি।
এমন কোনো সাহসী পদক্ষেপ আমরা দেখিনি, যার মধ্য দিয়ে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য থেকে শুরু করে—যেমন দুর্নীতির প্রশ্নে আলোচনাই এর মধ্যে আসেনি। অর্থনৈতিক নৈরাজ্য, ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে এ বিষয়গুলো খুব একটা আলোচনার মধ্যে আসেনি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।