ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী-বিশ্বস্ত বন্ধু

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২৪, ১৮:১৬

ছবি: সংগৃহীত

ভারত বাংলাদেশের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও বিশ্বস্ত বন্ধু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উভয় দেশের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে ডিজিটাল ও সবুজ অংশীদারিত্বের জন্য একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্মত হয়েছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি। আমরা ‘ডিজিটাল পার্টনারশিপ’ এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারিত্বর জন্য একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্মত হয়েছি। শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের যাত্রায় উভয় দেশই ‘ভিশন স্টেটমেন্ট’ অনুমোদন করেছে।

আজ শনিবার (২২ জুন) মোদি ও শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ১০টি সহযোগিতা ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরপর দেয়া যৌথ বিবৃতিতে বৈঠক ফলপ্রসু হওয়ার কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী-বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত এবং দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে আমরা দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি।’

দুই দেশের ও জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে তারা সম্মত হয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যেহেতু নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে ঢাকা ও দিল্লি নতুনভাবে পথচলা শুরু করেছে, সে ধারাবাহিকতায় আমরা ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ অনুসরণ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।’

বক্তব্যের শুরুতে নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নরেন্দ্র মোদির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো দেশে আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। আমাকে ও আমার প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ আতিথেয়তা প্রদান করায় ভারত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশি, বিশ্বস্ত বন্ধু ও আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শুরু হওয়া ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার এবং ভারতের জনগণের অবদানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। ভারতের সেইসব বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, যারা ১৯৭১ সালের আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।’

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top