রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

নোবেল পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা আমার কখনও ছিল না, এখনও নেই : প্রধানমন্ত্রী

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৪, ১৭:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাস্তির পেছনে সরকারের হাত নেই। আদালত তাকে (ইউনূস) শাস্তি দিয়েছে। এখানে আমার দোষটা কোথায়? তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার মধ্যে কখনও ছিল না, এখনও নেই। আমি জানি এসব পুরস্কার যারা পান, তার পেছনে একটি রাজনীতি থাকে। আমি এগুলো চাই না। অথচ পার্বত্য অঞ্চলে আমি শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছি। শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি বিরল ঘটনা।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ড. ইউনূস ওয়ান ইলেভেনের সময় একটি রাজনৈতিক দল গঠনেরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ব্যর্থ হলেন কেন? তখন আমার নামে খুনের মামলাও হয়েছিল। হিলারি ক্লিনটনকে সঙ্গে নিয়ে দেশে দারিদ্র বিমোচনে প্রকল্প নিলেন, অথচ যারা ঋণ নিয়েছিল তাদের অনেকে সুদের চাপে আত্মহত্যাও করেছে। আমার প্রশ্ন হলো, ইউনূস দারিদ্র বিমোচন করতে পারলেন না কেন?

সরকারপ্রধান বলেন, দেশ থেকে দারিদ্র বিমোচন করছি আমি। অথচ সবাই ক্রেডিট দেয় ইউনূসকে। সে তো একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার পক্ষে সাংবাদিকরা লিখে কীভাবে? এটাও আমার প্রশ্ন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আমাদের দুই দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের নতুন সরকার গঠনের পর এটিই ছিল কোনো দেশে আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। একইসঙ্গে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গঠনের পর ভারতেও ছিল এটি প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের দ্বিপাক্ষিক সফর। এটি অবশ্যই আমার এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত সম্মানের।

পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতামূলক বিশেষ সম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ। ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও নিকটতম প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সম্পর্কের সূচনা হয় তাকে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ২১ জুন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top