গণভবন রূপ নিচ্ছে জাদুঘরে, আগামীকালকের মধ্যে কমিটি
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০১
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ সময় শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন। তারাও গণভবন ঘিরে পরিকল্পনার কথা জানান।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে গণভবন নামে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে রূপান্তর করা হবে। যেহেতু ৩৬ আগস্ট অথবা ৫ আগস্ট গণভবনটি জনগণ জয় করেছে অনেক রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি। আমরা এই জাদুঘরটি শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর বুকে নিদর্শন হিসেবে রাখতে চাই।
পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জাদুঘর হিসেবে গণভবনকে জনসাধারণের জন্য খোলা হবে। জনগণের স্মৃতি ধারণ করতেই গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে।’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ফ্যাসিবাদের নিদর্শন সংরক্ষণ করে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরের পর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। স্থপতি ও শিল্পী নিয়ে জাদুঘর নির্মাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
দ্রুতই এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, গণভবন যে অবস্থায় আছে, জনগণ যেভাবে রেখেছেন সে অবস্থায় রাখা হবে। এর মধ্যে ভেতরে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হবে, যাতে অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে। এ বিষয়ে আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিষয়: জাদুঘর গণভবন গণঅভ্যুত্থান
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।