বৃহঃস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১

ভারতে আটক ৯০ বাংলাদেশি জেলে-নাবিক দেশে ফিরেছে

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:৪৫

দেশে ফিরেছে ভারতে আটক ৯০ বাংলাদেশি

ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৭৮ জেলে ও নাবিকসহ ৯০ বাংলাদেশি দেশে এসে পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পতেঙ্গার কর্ণফুলী চ্যানেলের ১৫নং ঘাটে এসে পৌঁছান তারা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামের দুটি ফিশিং ভেসেলও ফেরত এসেছে।

চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দফতরের পরিচালক বলেন, ‘দুই ফিশিং জাহাজে থাকা ৭৮ জন জেলে-নাবিকসহ মোট ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে ও নৌকর্মীকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ৫ জানুয়ারি দুই দেশের পারস্পরিক প্রত্যাবাসনে এটা সম্পন্ন হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কারাগারে আটক থাকা ৯৫ জন ভারতীয় জেলে ও নৌকর্মীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

সামুদ্রিক মৎস্য দফতর সূত্র জানিয়েছে, ৯০ বাংলাদেশি জেলে-নাবিককে রবিবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার হিরণ পয়েন্টে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে বাংলাদেশের সমুদ্রে মাছ ধরার সময় দুটি ট্রলারসহ ৭৮ জন জেলে-নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। ঘটনার পরদিন খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সমুদ্র থেকে ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মালিকপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদফতর নিশ্চিত করেছিল। আটক দুটি নৌযান হলো ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। আর এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।

এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি গত ২৭ নভেম্বর মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। ২০ ডিসেম্বর ঘাটে ফেরার কথা ছিল। ট্রলারটিতে ৪১ জন নাবিক-জেলে রয়েছেন। এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি গত ২৪ নভেম্বর সাগরে যায়। ১৪ ডিসেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। এটিতে ৩৭ জন নাবিক-জেলে আছেন।

ভারতীয় জলসীমায় মাছ শিকারের অভিযোগ এনে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটক করে। পরে তাদের উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আদালতের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে রাখা হয়। এ ছাড়া ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফভি কৌশিক’ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। ওই নৌকায় থাকা ১২ বাংলাদেশি জেলেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদেরও অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে রাখা হয়।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top