বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

সড়ক দুর্ঘটনার দায় এখন থেকে কর্মকর্তাদের কাঁধেও পড়বে

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬:২১

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

সড়কে দুর্ঘটনার দায় এখন থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের কাঁধেও পড়বে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ১২ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে এর দায় নিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গত বছর সারা দেশে ৭ হাজার ২৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। যা ২০২৩ সালের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যায়নি স্বীকার করে এর জন্য দায় নেন তিনি।

সড়ক উপদেষ্টা বলেন, জীবনের কোনো মূল্য হয় না। কিন্তু অপরাধ স্বীকারের অংশ হিসেবে আমরা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছি। ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য বিআরটিএর কর্মকর্তাদের পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে। গাড়ির ফিটনেস ও চালকের লাইসেন্স না থাকার জন্য যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সরাসরি দায়ী করা হবে। এসব মৃত্যুর দায়িত্ব তাদের ওপর আসবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের গাফিলতি থাকলে সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে বলে জানান তিনি৷

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস ইস্যু করার প্রক্রিয়া অনেক জটিল। তাই এখন থেকে লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থাটা সহজ করা হবে এবং কার্যকরী করা হবে। এর জন্য আমরা প্রথমেই চালকদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সাড়ে ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া আটকে আছে। আগামী মার্চের মধ্যে এগুলো দিয়ে দেওয়া হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট রিনিউ করার ক্ষেত্রে আগে থেকে বিআরটিএ মেসেজ দেবে। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হবে কত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স ও ফিটনেস রিনিউ করতে হবে। যদি ওই সময়ের মধ্যে লাইসেন্স রিনিউ না করা হয়, তাহলে সেটি বাতিল হয়ে যাবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেসের বিষয়ে কি কি করতে হবে, কে করবে, কীভাবে করবে, কত দিনের মধ্যে করবে, সেটি করতে কি কি প্রয়োজন হবে সেটার একটি ম্যাট্রিক্স আমরা দাঁড় করিয়েছি। সেটা আমরা মনিটরিং করবো।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top