শান্তিতে নোবেলজয়ী ও অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে, গত সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে সর্বক্ষেত্রে, এটা (আয়নাঘর) তার একটা নমুনা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আয়না ঘর নামে পরিচিত বিগত আওয়ামী সরকারের গোপন বন্দীশালা ও টর্চার সেল (নির্যাতনকেন্দ্র) পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। এদিন আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নৃশংস অবস্থা, প্রতিটি জিনিস যে রয়েছে এখানে। যতটা শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়, এটা কি আমাদের জগৎ, আমাদের সমাজ।
তিনি বলেন, যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে, তারাও আমাদের সঙ্গে আছে এখানে, তাদেরর মুখে থেকে শুনলাম কিভাবে হয়েছে। কোন ব্যাখা নেই।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এরকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশ জুড়ে আছে। বিগত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সর্বক্ষেত্রে। এটা তার একটা নমুনা। আমরা দেশের অবনতির চূড়ান্ত যে রূপ দেখলাম সর্বক্ষেত্রে। এটা তার একটা প্রতিচ্ছবি।
আয়না ঘর পরিদর্শনের সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ সময় গত জুলাই মাসে আন্দোলনের সময় সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের টর্চারসেলে যে কামরাতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে রাখা হয়েছিল, সেগুলো তারা আইডেন্টিফাই করেন।
আয়নাঘর পরিদর্শনের পর নাহিদ জানান, তাকে যে কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল সেই কক্ষের একপাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়। আয়নাঘর পরিদর্শনের পর আসিফ জানান, তাকে যে কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল সেই কক্ষের দেয়ালের উপরের অংশের খোপগুলোতে এক্সস্ট ফ্যান ছিল।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।