বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

তুরাগতীরে বৃহত্তম জুমার জামাত

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৫:০৩

ফাইল ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের অংশগ্রহণে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন দুপুর দেড়টায় খুতবা শুরু হয়। এরপর নামাজ ১টা ৫০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে ১টা ৫৫ মিনিটে শেষ হয়। জুমার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভির বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।

বিশ্ব ইজতেমার এই পর্বে অংশ নিচ্ছেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর দেড়টায় খুতবা শুরু হয়। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে ১টা ৫৫ মিনিটে নামাজ সম্পন্ন হয়। লাখো মুসল্লি জুমার নামাজে অংশ নেন বলে তিনি দাবি করেন।

বাদ আসর বয়ান করবেন হাফেজ মনজুর সাহেব (নিজামুদ্দিন)। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন মাওলানা জামশেদ সাহেব (নিজামুদ্দিন)

ইতিহাসে এবারই প্রথম শবে বরাতের রজনিতে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা রাতে টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমার ময়দানে একসঙ্গে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন বলে জানা গেছে। এর আগে গতকাল সকাল থেকে সারা দেশ থেকে মুসল্লিরা ময়দানে জড়ো হন।

ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, মূল ময়দানে আলহামদুলিল্লাহ মুসল্লিদের পরিপূর্ণ। সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লিরা তাদের নির্ধারিত খিত্তায় এসে অবস্থান করছেন। এছাড়া আসছেন সহস্রাধিক বিদেশি মুসল্লি। মূল ইজতেমা ময়দানকে ৮৫টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আগত মুসল্লিদের ওজু, গোসলের সুবিধার্থে পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। ময়দানে কাজ করছেন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সেবা সংস্থা।

ইজতেমার দ্বিতীয় দিন বাদ ফজর বয়ান করবেন মোরসালিন সাহেব (নিজামুদ্দিন)। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তালিমের মওজু পরিচালনা করবেন মুফতি ইয়াকুব সাহেব (নিজামুদ্দিন)।

বাদ জোহর আরব মেহমানরা বয়ান করবেন। বাদ আসর বয়ান করবেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন মাওলানা আব্দুস সাত্তার সাহেব (নিজামুদ্দিন)। এছাড়া আসরের নামাজের পর যৌতুক বিহীন গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ব ইজতেমার তৃতীয় দিন বাদ ফজর বয়ান করবেন মুফতি রিয়াসাত (নিজামুদ্দিন)। এরপর হেদায়েতের বয়ান ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top