জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে নতুন একটি রাজনৈতিক দল। কবে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল? কী হবে সেই দলের নাম? কাদের হাতেই বা থাকবে নেতৃত্বের চাবিকাঠি? সেটাই এখন টক অব দ্য কান্ট্রি।
তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে কারা আসবেন– এ নিয়েই চলছে বিরোধ। আহ্বায়ক হিসেবে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের প্রতি সবার সমর্থন থাকলেও তিনি পদত্যাগ করে দলের নেতৃত্ব নেবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সদস্য সচিব পদে সব পক্ষই নিজের লোক চাওয়ায় বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে।
দলটির সদস্য সচিব পদে কে আসছেন তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ঠিক কাকে সদস্য সচিব করা হচ্ছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে এ পদে একাধিক নাম আলোচনায় আসছে। আলোচনায়, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের নাম শোনা যাচ্ছে।
১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন নতুন রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। তবে নেতৃত্বে কারা আসছেন– তা ঠিক করতে না পারলে ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন দলের ঘোষণা নাও আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে পেছাতেও পারে দলের আত্মপ্রকাশ।
গণমাধ্যম বলছে, ছাত্র নেতৃত্ব চারটি বলয়ে বিভক্ত। এক বলয়ের সঙ্গে নানা ইস্যুতে আরেক বলয়ের দূরত্ব রয়েছে। রাজনৈতিক দলে চার বলয়ের নেতারাই শীর্ষ নেতৃত্বে থাকতে চান।
সামাজিকমাধ্যমে অনেকে এর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে বেশি সরব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপগুলোয় রীতিমতো চর্চা চলছে বিষয়টি নিয়ে। যদিও বিবদমান সব পক্ষের ভাষ্য, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে।
নতুন দলের গঠনতন্ত্র, দলের নাম ও সাধারণ মানুষের কাছে প্রত্যাশা জানতে আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংগঠন দুটির চলমান জনমত জরিপের কার্যক্রম ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে তিন লাখের বেশি মানুষ তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
জরিপে মানুষের কাছে পাঁচটি প্রশ্ন করা হয়েছে। এগুলো হলো: ১. আপনার মতে কোন তিনটি কাজ করলে দেশ বদলে যাবে; ২. নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আপনার জীবনের কোন সমস্যার সমাধান চান; ৩.নতুন দলের কাছে আপনি কী প্রত্যাশা করেন; ৪. দলের নাম কী হতে পারে এবং ৫. দলের মার্কা (প্রতীক) কী হতে পারে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, সাধারণ কি-ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে বেশি এসেছে গণতন্ত্র, নাগরিক, জাস্টিস ও ‘বৈষম্যবিরোধী। অর্থাৎ বেশির ভাগ মানুষ চান নতুন দলের নামের মধ্যে এ ধরনের শব্দ থাকুক।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।