বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১

অবস্থান নেওয়া আহতদের যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৮:১০

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া জুলাই আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি আন্দোলনরতদের সঙ্গে তাদের দাবির বিষয়ে কথা বলেন।

এর আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনের সড়কে বসে পড়েন।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অবস্থানকারীদের সঙ্গে দাবির বিষয়ে কথা বলেন। তখন, উপস্থিত ব্যক্তিরা ক্যাটাগরি বৈষম্য দূর করে আহতদের দ্রুত পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা এবং ইমার্জেন্সি হটলাইন চালুর দাবি জানান।

এসব দাবির বিষয়ে উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ বলেন, আপনারা যে আন্দোলন করেছেন সেটির ফলেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা সবাই একটি সুন্দর ও নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। আপনারা সেজন্য আহত হয়েছেন রক্ত দিয়েছেন। আপনারা যে সংগ্রাম করেছেন সে জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজে এখানে উপস্থিত হয়ে এই দাবিগুলো গ্রহণ করলাম। যে মন্ত্রণালয় এই দাবিগুলো নিয়ে কাজ করছে আমি নিজ হাতে তাদের কাছে পৌঁছে দেব।

আমি আবারও বলছি, আপনাদের ত্যাগ অনস্বীকার্য এবং মূল্য দিয়ে নির্ধারণ করা যাবে না। কিন্তু সরকারের একটি নিয়ম আছে। এখন এটি আমি হাতে নিয়েছি এবং যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেব। একইসঙ্গে বিষয়টি যেন সুবিবেচনা করা হয় সেটিরও অনুরোধ জানাবো। আমি আশা করব আপনারা এই অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেবেন।

এসময় অবস্থানকারীরা নারাজ হলে আবারও আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আমি নিজে এখানে এসে দাবিগুলো হাতে নিয়েছি। যে উপদেষ্টা এই বিষয়টি দেখেন তার কাছে আমি পৌঁছে দেব। আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করছি আপনারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন।

পরে আহত ও তাদের পরিবারবর্গের পক্ষে আরমান নামের একজন বলেন, এই তিন দাবি পূরণ না হওয়ার আগ পর্যন্ত এখান থেকে সরে যাওয়া হবে না। আমরা এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো। পরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবার ভেতরে চলে যান।

উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময় আন্দোলনে আহতরা স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবিতে রাজধানীর শ্যামলী, শাহবাগ, উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অবরোধ করে ও অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top