প্লাস্টিক বর্জ্যের অবৈধ বাণিজ্য এবং পরিবহণ বন্ধের আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ২২:৩১
নীতিমালা অনুসারে বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে গত ৩ বছরে প্রায় ১.২ মিলিয়ন প্লাস্টিক বর্জ্যের আন্তঃসীমান্ত পরিবহণ এবং অবৈধ আমদানি হয়েছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ান সরকার বাংলাদেশসহ মোট ১৩ টি দেশ হতে আমদানি করা পুনঃব্যবহারযোগ্য নয় এমন প্লাস্টিক বর্জ্যের ১৫০ টি কনটেইনার সম্বলিত চালান ফেরত পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডোর প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং- এ 'বিষাক্ত প্লাস্টিক বর্জ্যঃ বাংলাদেশে এর ব্যবস্থাপনা এবং বাণিজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি' শীর্ষক গবেষণার রিপোর্টে এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
এসডোর চেয়ারপারসন, সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ সকলকে প্লাস্টিক বাণিজ্যের ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলো কিভাবে বঙ্গপোসাগরের বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে এবং কিভাবে তা বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এসবের গভীরতা অনুধাবনের সকলকে আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি সরকারের কাছে প্লাস্টিক বর্জ্যের এই অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এসডোর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এই বর্জ্য সংগ্রহ এবং ব্যবস্থাপনার পৃথক কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে প্লাস্টিক বর্জ্য অন্য সকল বর্জ্যের সাথেই মিশ্রিত অবস্থায় থেকে যায়। পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্যমতে সংগৃহিত প্লাস্টিক বর্জ্যের কেবল ৭০ শতাংশ পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা হয়। যার ফলে প্রায় ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীর মাধ্যমে বঙ্গপোসাগরে গিয়ে জমা হয় এবং এর ফলে এই জলপথ বিশ্বে ২য় সর্বোচ্চ প্লাস্টিক দ্বারা দূষিত জলপথ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্যের আন্তঃসীমান্ত কার্যক্রম বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের সুলভ বিকল্পগুলোর প্রচার চালাতে ও একই সাথে বাসেল ব্যান এমেন্ডমেন্ট আইন, ইউএনইএ রেজোলিউশন আইন এবং বাংলাদেশ আমদানি নীতি (২০১৫-২০১৮) বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার, সাস্টেইনেবল ফরেস্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড- সুফল, প্রকল্প; মোখলেছুর রহমান, প্রাক্তন অতিরিক্ত আইজিপি এবং প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা, এসডো; মোঃ জিয়াউল হক, পরিচালক, একিউএম, পরিবেশ অধিদপ্তর; রাজিনারা বেগম, পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর; ত্রিপ্তি অরোরা, সমন্বয়কারী, আইপেন সাউথ এশিয়া হাব এবং হৃদিতা ফেরদৌস, গবেষণা সহযোগী এসডো।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
বিষয়: বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ অবৈধ বাণিজ্য কনটেইনার যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র মালয়েশিয়া এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এসডো
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।