তথ্য সংশোধন শেষ: প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক নিয়োগে শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ৩১ আগষ্ট ২০২০, ১৫:২৮

সারাদেশে ১৯ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।  ইতোমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করেছে এনটিআরসিএ)।

কয়েকদফা সংশোধনের পর আবারো শূন্যপদে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বা ডিইওদের শূন্যপদের তথ্য যাচাই ও সংশোধনের দায়িত্ব দেয় এনটিআরসিএ।   আগস্ট পর্যন্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। এসময়ে মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শূন্যপদের তথ্য যাচাই ও এডিট করার সুযোগ পাচ্ছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

শূন্যপদে তথ্য সংশোধন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে এনটিআরসিএ। নির্দেশনায় শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের প্রক্রিয়া বিস্তারিত গত ১৯ আগস্ট নির্দেশনা জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকার অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদাপত্র যাচাই করে যেগুলোর সংশোধন প্রয়োজন মনে করবেন, সেগুলো প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দিয়ে সংশোধন করাবেন। তাদেরকে ৩১ আগস্টের মধ্যে এসব চাহিদাপত্র সংশোধন করতে বলা হয়। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিজ নিজ ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নির্ধারিত  ওয়েবসাইটে (https://ngi.teletalk.com.bd) লগইন করে Edit Option এ গিয়ে চাহিদাপত্র সংশোধন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানে থেকে পাওয়া সংশোধিত চাহিদা পত্রের কপি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা প্যানেলে দেখতে পারবেন। চাহিদাপত্র যাচাইয়ের পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিজ নিজ প্যানেল পেইজের নিচের Save and Submit button এ ক্লিক করে চাহিদাপত্র চূড়ান্তভাবে সাবমিট করতে পারবেন। শূন্য পদে তথ্য সংশোধনের প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ করেছে এনটিআরসিএ। গত ৫ মার্চ পর্যন্ত যেসব প্রতিষ্ঠান প্রধানের ই-রিকুইজিশন দিয়েছিলেন তারা শূন্য পদের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন।

গত শিক্ষক নিয়োগে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্যপদের ভুল তথ্য দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রার্থীদের। তাই, বারবার শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করা হচ্ছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের যাচাই করা পদগুলো সঠিক বলে বিবেচনা করবে এনটিআরসিএ। সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য এনটিআরসিএর অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। অফিস চলাকালীন ০২-৪১০৩০৩৯৩, ০২-৪১০৩০১৩১, ০২-৪১০৩০১২৯ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

গত ১৪ জানুয়ারি থেকে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ বা ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিকুইজিশন প্রক্রিয়া চলার কথা থাকলেও এ সময় বাড়ায় এনটিআরসিএ। গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিকুইজিশন বা শূন্যপদের তথ্য দিতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপর মার্চ পর্যন্ত কয়েক দফায় শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে ১৯ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৭ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করে এনটিআরসিএ। বাছাই করা প্রার্থীদের আর কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না। ইতোমধ্যে দুইটি চক্রে ২০১৬ এবং ও ২০১৯ সালে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top