• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর কমিটিতে আলোচনায় যারা

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪, ১৪:৪২

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের রাজনীতি পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে জেলায় জেলায় ইতোমধ্যে সম্মেলন শুরু করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এর অংশ হিসেবে শিগগিরই কেন্দ্রীয় কমিটির আংশিক পূর্ণাঙ্গকরণ ও ঢাকা মহানগর শাখাগুলোর কমিটি দেওয়ার কথা রয়েছে সংগঠনটির। তাই ঢাকা মহানগর পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ এই চার ইউনিটের কমিটি নিয়ে নানা মহলে চলছে বিশ্লেষণ।

সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বলছেন, যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে, বিপদের সময় দলকে ছেড়ে যায়নি, ইতিবাচক ভাবমূর্তির অধিকারী এবং শিক্ষাগতসহ সব দিক থেকেই যোগ্য, এমন কর্মীদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটগুলোর দায়িত্ব প্রদান করা হবে।

এদিকে, চার মহানগরের বেশ কিছু শীর্ষ নেতার দাবি-সংগঠনের জন্য ত্যাগ, আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে যেন অবশ্যই প্রাধান্য দেওয়া হয়। ছাত্রদলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই বলে তারা মনে করেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অন্তত অনার্স পাস ব্যক্তিদের দেখতে চান তারা।

একটি থানা শাখার এক সদস্য সচিব নিউজ ফ্ল্যাশ ৭১ কে জানান, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আশা অনেক। দলের এ ক্রান্তিকালে একটি সুন্দর কমিটিই পারে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনে থেকে ভূমিকা পালন করতে।

যেহেতু মহানগর ইউনিটগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই কমিটিতে যেনো শিক্ষিত মার্জিত এবং সাহসিকতার একটি সুন্দর মিশ্রণ থাকে। আমাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ পরিচালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের সমন্বয়ে, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলেও যেন আমরা তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি।

ঢাকা মহানগর উত্তর আলোচনায় যারা

ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটিতে আলোচনায় আছেন রাজিব আহমেদ, মো. সালাহউদ্দিন, ইসমাইল হোসেন জনি, মনির হোসেন, মো. মনির, মেহেদী হাসান মিম ও ইমাম হোসেন নির্জন।

রাজিব আহমেদ যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। টুকুর ঘনিষ্ঠ বন্ধুর প্রার্থী হওয়াতে আলোচনায় আছেন।

মো. সালাহউদ্দিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে ২৮ অক্টোবরের পরবর্তী আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।

আজিজুল বারী হেলাল এর অনুসারী হলেন ইসমাইল হোসেন জনি, তিনি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাসুম-হিমেল কমিটিতে। রাজপথে রক্ত দিয়েছেন, কারাবরণ করেছেন এবং ২৮ অক্টোবরের পরবর্তী আন্দোলন সংগ্রামে জনির ভালোালেো       ভূমিকা ছিল।

মনির হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। উত্তরের সাবেক ছাত্রনেতা ও যুবনেতা জাহাঙ্গীরের অনুসারী হিসাবে ব্যাপক পরিচিত।

মো. মনির মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা আমিনুল ইসলামের সমর্থক। এছাড়াও মেহেদী হাসান মিম হাতিরঝিল থানার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।

বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুলের অনুসারী এবং ইমাম হোসেন নির্জন ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়ালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ঢাকা মহানগর পূর্বে আলোচনায় যারা

ঢাকা মহানগর পূর্বের সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে। দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে বহুদিন ধরেই হতাশা চলছে। নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব আল আমিন, হুমায়ুন কবির, সোহাগ ভুঁইয়া, আব্দুল জামাল চৌধুরী আদিত্য, ইফতেখার উদ্দিন ফয়সাল, সাব্বির আহমেদ, রিয়াজুল হাসান রাসেল ও হাসান মাহমুদ।  

এদের মধ্যে বর্তমানে মহানগর কমিটির সদস্য সচিব আল আমিন পার্টি অফিসে নিয়মিত না হলেও নিজস্ব বলয়ে বেশ সক্রিয় এবং মির্জা আব্বাস পরিবারের ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত।

হুমায়ুন কবির, আফরোজা আব্বাসের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। আন্দোলন, সংগ্রামে সক্রিয় থাকলেও অভিযোগ আছে তিনি শুধু দাখিল পাশ করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে হুমায়ুন কবির জানান, আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষ যারা আছে তারা এসব ছড়াচ্ছে। যাদের কোনো যোগ্যতা নেই তারা আমার পিছনে লেগেছে, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

আমি আমার যোগ্যতা দিয়ে মহানগরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি এবং আমার সব যাচাই-বাছাই করেই আমাকে এসব গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমার সার্টিফিকেট বা অন্যান্য বিষয়গুলো দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেই শুধু প্রদর্শন করবো, আর কাউকে দেব না।

আরেক পদপ্রত্যাশী সোহাগ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তিনি বিবাহিত, সন্তানের পিতা এবং একসময় ছাত্রলীগের সাথে মিলে শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কেটেছিলেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সোহাগ ভুঁইয়া জানান, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। আমার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে একবার কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার চাচাতো বোনের সঙ্গের কিছু ছবি নিয়ে আমাকে বিবাহিত বলে প্রচার করা হচ্ছে। আর শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটার ছবিটাও এডিট করা। এটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

আব্দুল জামাল চোধুরী আদিত্য বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ভাগনে হিসেবে রাজনীতিতে অল্পদিনে বেশ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ছাড়াও যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার খালাতো ভাই হিসেবেও তিনি সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন।

আরেক পদপ্রার্থী ইফতেখার উদ্দিন ফয়সাল সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রশিদ হাবিবের কর্মী হিসেবে বেশি পরিচিত। বর্তমান সভাপতি রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসিরের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বলেও গুঞ্জন আছে। ২৮ অক্টোবর পরবর্তী আন্দোলনে ও বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরুদ্ধে লাগাতার কর্মসূচি পালনে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন।

শীর্ষ পদপ্রত্যাশী সাব্বির আহমেদ ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ রবিউল ইসলাম রবির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। গুঞ্জন আছে, তিনিও এসএসসির পর আর পড়ালেখা চালাননি।

আরেক পদপ্রত্যাশী রিয়াজুল হাসান রাসেলের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ আছে। তার মাদক সেবনের একটি ভিডিও কালবেলার হাতে এসেছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রদলের সর্বশেষ আহ্বায়ক কমিটি হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে। এরপর আর কোন কমিটি গঠিত হয়নি। এবারের কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, রাজু আহমেদ, শামীম আহমেদ, আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী রবিন, সাখাওয়াত হোসেন আনান ও রোকনুজ্জামান রোকন। এদের মধ্যে নিয়াজ মাহমুদ নিলয় বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব।

রাজনৈতিক দক্ষতা ও মাঠে বেশ সক্রিয় থাকলেও তার বিরুদ্ধে বিবাহিত হওয়া এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আগের কমিটিতে পদ নেয়ার অভিযোগ আছে।

শীর্ষ পদপ্রত্যাশী রাজু আহমেদ বর্তমান মহানগর দক্ষিণ কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স পাস করেও স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িয়েছেন বহুবছর আগে।

শামীম আহমেদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বয়স ও শিক্ষার বিষয় নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিগত আন্দোলন সংগ্রামে সকল কর্মসূচিতে তার সক্রিয় ভূমিকার জন্য এবার আলোচনায় আছেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আরেক শীর্ষ পদপ্রত্যাশী আব্দুর রহিম ভূঁইয়া দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় এবং সাংগঠনিকভাবে দক্ষ বলে সংগঠনসূত্রে জানা গেছে।

পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম অল্প বয়সেই জেল নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ও অনেক মামলার  আসামি তিনি।  তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও উন্মুক্ত থেকে এসএসসি পাশ  বলে জানিয়েছে এক সূত্র।

গোলাম রাব্বানী রবিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সভাপতি হামিদের ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। তার নামে ৩৮টি রাজনৈতিক মামলা চলমান আছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ২৮ শে অক্টোবর পরবর্তী আন্দোলন সংগ্রামে বেশ সক্রিয় ছিলেন।

সাখাওয়াত হোসেন আনান গুমের শিকার হয়েছিলেন। তার নামে ৮০ এর অধিক রাজনৈতিক মামলা আছে বলে জানা যায়। বেশ কয়েকবার জেল ও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। উচ্চ শিক্ষিত না হলেও দীর্ঘ দিন থেকে স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ সক্রিয়। এ ছাড়াও রোকনুজ্জামান রোকন আগেও সফলভাবে বেশ কয়েকটি দায়িত্ব পালন করে আলোচনায় আছেন।

ঢাকা মহানগর পশ্চিম

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর পশ্চিমের কমিটিতে আলোচনায় আছেন গোলাম মাওলা গোলাপ, জুয়েল হাসান রাজ ও আকরাম আহমেদসহ বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে গোলাম মাওলা গোলাপ সহসভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে ২৮ অক্টোবরের পরবর্তী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন।

যুবনেতা মিল্টনের একক প্রার্থী হিসাবে ব্যাপক আলোচনায় আছেন। জুয়েল হাসান রাজ মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা আমিনুলের প্রার্থী এবং বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক। আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা নিয়ে কিছুটা সমালোচনা রয়েছে।

আকরাম আহমেদ মহানগরের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক এবং বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মহানগর পশ্চিমে এই তিনজন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন পদপ্রার্থী তাদের চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন।

ছাত্রদল কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিউজ ফ্ল্যাশ ৭১ এর প্রতিবেদককে জানান, শিগগিরই মহানগর ছাত্রদলের কমিটিতে নেতৃত্বের চূড়ান্ত তালিকা সংশ্লিষ্টদের কাছে জমা দেওয়া হবে। এ-সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি আমাদের নেওয়া হয়েছে।  

২৮ অক্টোবর পরবর্তী তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তারা সবার আগে বিবেচিত হবেন। এর আগের আন্দোলনগুলোতে যারা ভূমিকা রেখেছেন তারাও বিবেচিত হবেন। তবে তাদের সংগঠনকে এগিয়ে নেওয়ার সাংগঠনিক দক্ষতাও থাকতে হবে।

তারা আরও জানান, যারা নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছে তাদের সবাই শিক্ষাগত যোগ্যতায়ও এগিয়ে আছে। আর আমরা সাংগঠনিকভাবে নির্দিষ্ট কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তা অবশ্যই আমলে নেওয়া হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা একটু এগিয়ে থাকে তাদের ব্যাপারে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকে। এটা ছাত্ররাজনীতিতে হয়ে থাকে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top