আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৯ মে ২০২৫, ১২:৫৭

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হওয়া ফ্যাস্টিস্ট দল আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা এলাকা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে সেখানে চলছে বিক্ষোভ।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। জুমার নামাজের পর সেখানে বড় সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। এজন্য যমুনা ভবনের পাশেই মিন্টো রোড সংলগ্ন ফোয়ারার কাছে পাঁচটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে।

সকাল থেকেই যমুনার পাশের প্রাঙ্গণ বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত। রাতভর অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা সকালেও তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। তাদের কণ্ঠে ছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি। আন্দোলনকারীরা ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ ব্যান’, ‘২৪ এর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। জনরোষের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালান দলটির প্রধান শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ওই অভ্যুত্থানে হাসিনার নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলাসহ সহিংসতায় এক হাজার চারশ’ জন নিহত হন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তাদের বিচার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র-জনতা।

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। জনরোষের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে পতন হয় আওয়ামী স্বৈরশাসনের। জাতিসংঘের হিসাব মতে, ওই অভ্যুত্থানে হাসিনার নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলাসহ সহিংসতায় এক হাজার চারশ’ জন নিহত হন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তাদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র-জনতা।

বুধবার গভীর রাতে চুপিসারে আওয়ামী লীগ আমলের দুইবারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরদার হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্লাটফর্ম এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়েও প্রশ্ন তোলে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় যমুনার সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়, যা এখনো চলছে।

এতে হাসনাতের দল এনসিপির পাশাপাশি যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত হচ্ছেন।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এবং কাকরাইল মসজিদের দিক থেকে আসা রাস্তাগুলোতে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। এর ফলে ওই এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে দেখা গেছে। জুমার নামাজের পর বিক্ষোভকারীরা মঞ্চে উঠে তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top