৩৫ এ পা দিলেন ‘উসাইন ‘দ্য লাইটনিং’ বোল্ট’

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২১ আগষ্ট ২০২১, ২০:২৭

৩৫ এ পা দিলেন ‘উসাইন ‘দ্য লাইটনিং’ বোল্ট’

১৯৮৬ সালের ২১ আগস্ট জ্যামাইকার ছোট্ট শহর ট্রিলনি পারিশে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ‘উসাইন সেন্ট লিও ‘দ্য লাইটনিং’ বোল্ট’। এথলেটিক্স এর মহাকাশে চির যৌবনময় এক নক্ষত্র যে কিনা মাত্র ১০ সেকেন্ডের'ও কম সময় দৌড়ে পারফরম্যান্স করেছেন। বিশ্বরেকর্ড গড়াকে যিনি রীতিমতো বানিয়েছিলেন ছেলেখেলা।

আজ ৩৫ এ পা দিলেন এই গতি মানব। কে ভেবেছিল মুদি দোকানি এ ছেলেটাই একদিন হবে পৃথিবীর সর্বকালের দ্রুততম মানব। যিনি তিনি ১০০ মিটার দৌড় ৯.৫৮ সেকেন্ডে এবং ২০০ মিটার দৌড় ১৯.১৯ সেকেন্ডে শেষ করেছেন। ২০১০ সালে ভেঙেছেন নিজের করা বিশ্বরেকর্ড। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে জয় করেছেন ৯টি সোনা।

স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই স্প্রিন্ট ট্র‌্যাকে প্রথম পা পড়ে বোল্টের এবং সেখানে শুরুতেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। ১২ বছর বয়সেই ভেঙে দেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্কুলের দ্রুত গতির রেকর্ড। কিন্তু তখনো স্প্রিন্ট নয় বরং তার মস্তিষ্ক জুড়ে শুধুই ক্রিকেট আর ফুটবল। ছোটবেলা থেকেই তার ইচ্ছে ছিল ক্রিকেটার হওয়া। বলা চলে ক্রিকেটই তার প্রথম ভালোবাসা।

২০০১ সালে বিশ্ব মঞ্চে প্রথমবার পা রাখেন বোল্ট। বেইজিং ও লন্ডন অলিম্পিকের পর রিওতেও ১০০ ও ২০০ মিটারের স্প্রিন্ট এবং ৪ গুনিতক ১০০ মিটারের রিলেতে স্বর্ণ জিতে সর্বকালের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট হিসেবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেন তিনি। এরপরই নিজের অমরত্বের ঘোষণা দিয়ে বোল্ট বলেন, ‘আমিই বিশ্বসেরা, আমিই সর্বকালের সেরা।’

২০১৬ সালে অনুষ্ঠেয় রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকের পর ট্র্যাক থেকে বিদায় নেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও আরো এক বছর খেলেন তিনি। ২০১৭ সালে লন্ডন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জ্যামাইকার এই গতি দানব ৯.৯৫ সেকেন্ডে তৃতীয় হয়ে শেষ করেন ক্যারিয়ারের শেষ দৌড়। নিজের শেষ ব্যক্তিগত দৌড়ে সোনা জিততে ব্যর্থ হয়ে বোল্ট যেন প্রমাণ করেছিলেন, তিনিও মানুষ!


এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top