জেনে নিন, লাইলাতুল কদরের আমলগুলো
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৯
বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বরকতময় রাত হলো শবে কদর। মহাগ্রন্থ আল–কোরআন এই রাতেই প্রথম নাজিল হয়েছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি মাহাত্ম্যপূর্ণ রজনীতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় রাত্রি কী? মহিমান্বিত নিশি সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম।
‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।
শবেকদরের আমল-
লাইলাতুল কদর পেলে এ আমল ও দোয়া রাত অতিবাহিত করা জরুরি।
১. নফল নামাজ পড়া। ২. মসজিদে ঢুকেই ২ রাকাত (দুখুলিল মাসজিদ) নামাজ পড়া। ৩. দুই দুই রাকাত করে (মাগরিবের পর ৬ রাকাত) আউওয়াবিনের নামাজ পড়া। ৪. রাতে তারাবির নামাজ পড়া। ৫. শেষ রাতে সাহরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। ৬. সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহ পড়া। ৭. সম্ভব হলে তাওবার নামাজ পড়া। ৮. সম্ভব হলে সালাতুল হাজাত পড়া। ৯. সম্ভব হলে সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া। ১০. কুরআন তেলাওয়াত করা। সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুজাম্মিল, সুরা মুদ্দাসির, সুরা ইয়াসিন, সুরা ত্বহা, সুরা আর-রাহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা কুরাইশ এবং ৪ কুলহু সুরা পড়া। ১১. দরুদ শরিফ পড়া। ১২. তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া। সাইয়্যেদুল ইসতেগফার পড়া। ১৩. জিকির-আজকার করা। ১৪. কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত দোয়াপড়া। ১৫. পরিবার-পরিজন, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা, কবর জেয়ারত করা। ১৬. বেশি বেশি দান-সদকা করা।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।