যশোরে অফিস শুরু ফজরে, শেষ হয় জোহরে

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৩, ০০:০৮

উদ্যোক্তা খালিদ হাসান
  • একনজরে:
  • গল্পটা যশোরের উদ্যোক্তা খালিদ হাসানের
  • প্রতিষ্ঠান চলছে নতুন নিয়মে
  • তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে নেওয়াই স্বপ্ন

বাংলাদেশে অফিসের নির্ধারিত সময় সাধারণত নয়টা-পাঁচটা। কিন্তু অফিসকর্ম যদি ফজরের নামাজের পর শুরু হয় আর শেষ হয় জোহরের নামাজের পর, তাহলে কেমন হয়? অবাক করার মতোই খবর, তাই না?

গল্পটা যশোরের উদ্যোক্তা খালিদ হাসানের। তার প্রতিষ্ঠান খালিদ আইটি চলছে এই নতুন নিয়মে। চলতি মাসের ৫ তারিখ খালিদ তার ফেসবুক প্রোফাইলে নিজ প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি নিয়ে একটি পোস্ট দেন। তিনি বলেন, মে মাস থেকে আমাদের অফিস শুরু হবে ফজরের নামাজের জামাতের পর এবং চলবে জোহরের নামাজের পর এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত।

এমন নিয়মের কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফজরের নামাজ শেষে ভোরের সূর্যোদয় দেখার সৌভাগ্য হয় না অনেকেরই। সেখান থেকেই মাথায় এমন আইডিয়া এলো। এখানে আমরা সবাই নামাজ পড়ে আর না ঘুমিয়ে কাজ শুরু করি। দুপুরে জোহরের পরপর কাজ শেষ করে ফেলি।

অফিসের কর্মীরা ব্যাপারটি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে খালিদ বলেন, শুরুতে অনেকের খাপ খাওয়াতে সমস্যা হলেও এখন কর্মীরা নিয়মটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। অনেক সময় দেখা যায় আমার ঘুম ভাঙতে দেরি হলে, তারাই আমাকে ঘুম থেকে তুলে দেয়।

খালিদ বলেন, আমরা মূলত কর্মীদের নিজেদের মতো করে গড়ে তুলি। এ প্রতিষ্ঠানে বেশিরভাগ কর্মী আগে জানতোই না কীভাবে কম্পিউটার ওপেন করতে হয়। এরা একেকজন এখন ফ্রিল্যান্সার। আমরা চাকরির শুরুতে ১০ দিনের ফ্রি ট্রেনিং দিয়ে থাকি। এরপর থেকে তার চাকরির সময়কাল শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই এখন ব্যাংক-বিসিএসের মতো সরকারি চাকরির পেছনে দৌড়ান। আমি ভিন্ন কিছু করতে চেয়েছি। একটা সময় ছিল ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় বৃত্তি গাইড কেনার মতো শখানেক টাকা আমার হাতে ছিল না। আমি টাকা ধার নিয়ে পড়ার জন্য গাইড কিনেছিলাম। এখন আমার কর্মীদের মাসিক বেতন-ভাতা ও অফিস ভাড়া দিয়ে মাসে লাখখানেক টাকা থাকে।

খালিদ জানান, তিনি দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে চান। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়াই স্বপ্ন তার।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top