শাহ আব্দুল করিম ভাটি বাংলার কিংবদন্তি সংগীতসাধক, স্বপ্ন দেখতেন পৃথিবীটা একদিন বাউলের পৃথিবী হবে
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫৫
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে ৯৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান শাহ আব্দুল করিম।
জন্ম ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। শাহ আব্দুল করিমের বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান। দরিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া আব্দুল করিমের সংগীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই।
জীবন কেটেছে সাদাসিধেভাবে। বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের তালিম নেন কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন ও শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছ থেকে।
তিনি তার গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ ও দুদ্দু শাহের দর্শন থেকে। জীবিকা নির্বাহ করেছেন কৃষিকাজ করে।
শাহ আব্দুল করিমের অসংখ্য কালজয়ী গানের মধ্যে রয়েছে- বন্দে মায়া লাগাইছে, আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম, গাড়ি চলে না, কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু, বসন্ত বাতাসে সইগো।
বাউল শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ভাটি বাংলার এ প্রাণপুরুষ বাউলগানের অনন্য এক কিংবদন্তি। ভাটি অঞ্চলের মানুষের সুখ প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তার গান কথা বলে সকল অন্যায়, অবিচার, শোষণ আর সাম্প্রদায়িকতার বিরূদ্ধে। তাঁর কণ্ঠে তৈরি হয়েছে মানবতার জয়গান।
তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন শোষণহীন ও ধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলাদেশ। আমাদের এ পৃথিবীতে একদিকে নৃশংসতা তান্ডব নৃত্যে মাতাল হলে অন্যদিকে একজন হেসে বলে উঠে, একদিন এই পৃথিবীটা বাউলের পৃথিবী হবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।